ইস্টবেঙ্গল: ১ (মোবাশির রহমান)
ওড়িশা এফসি: ১ (নন্দ)
ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক এগারো মিনিট আগে গোলহজম করে স্বপ্নভঙ্গ হল ইস্টবেঙ্গলের। আইএসএল-এ নকআউটে পৌঁছে যাওয়া ওড়িশাকে সুপার কাপের প্ৰথম ম্যাচেই হারানোর সুযোগ পেয়েছিল স্টিফেন কনস্টানটাইনের ইস্টবেঙ্গল। তবে সেই সুযোগ হেলায় হারাল তারা।
মোবাশির রহমানের প্রথমার্ধের গোলে ইস্টবেঙ্গল লিড নিয়েছিল। তবে সেই লিড শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারল না লাল-হলুদ শিবির। ৭৯ মিনিটে ওড়িশার হয়ে নন্দের গোলে সমতা ফেরানোর পর দুই দল আর জয়সূচক গোল করতে পারেনি।
সুপার কাপে জিততেই কেরালায় এসেছে কনস্টানটাইন নিশ্চিত করেই দিয়েছেন লাল হলুদের লক্ষ্য। কোচ হিসাবে এটাই তাঁর ইস্টবেঙ্গলের শেষ এসাইনমেন্ট। সেই অভিযানের শুরুর ম্যাচে চার বিদেশিকে রেখেই দল সাজিয়েছিলেন লাল হলুদের ব্রিটিশ কোচ। ওড়িশার বিরুদ্ধে মুখোমুখি সাক্ষাতে ইস্টবেঙ্গলের পরিসংখ্যান মোটেই ভাল নয়। মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছিল।
মাঞ্জেরিতে সেই ইতিহাস বদলাতে মাঠে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে ওড়িশা প্ৰথম থেকেই ইস্টবেঙ্গল অর্ধে আক্রমণ শুরু করেছিল। সেই আক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন আইএসএল-এর সোনার বুটের মালিক দিয়েগো মরিসিও। জোসেফ গামবাউকে সরিয়ে দেওয়ার পর ওড়িশা এফসি সুপার কাপে খেলতে এসেছে ক্লিফোর্ড মিরান্দার কোচিংয়ে।
তিনি মাত্র ২৬ মিনিটেই সাহিল পানোয়ারকে তুলে নিতে বাধ্য হন। তারকা চোট পেয়ে বসায়। এরপরেই অল্পক্ষণের বিরতি নেওয়া হয় প্রবল গরমে। এতেই ম্যাচের টেম্পো বদলে যায়।
এই টেম্পো বদলের সৌজন্যেই ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন মোবাশির রহমান। গেহলত মোবাশিরকে বোকা বানাতে গিয়ে নিজেই বোকা বনে যান নিজেদের বক্সের ঠিক বাইরে। মোবাশির বল নিয়ে বক্সের হানা দিয়েই অমরিন্দরকে পেরিয়ে জালে বল জড়িয়ে দেন।
বিরতিতে ১-০ এগিয়ে মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল। হাফটাইমে কিরিয়াকুকে তুলে কোচ সুহেরকে নামিয়ে দেন। ৫০ মিনিটেই ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে দ্বিতীয় গোল করে ফেলতে পারত। ক্লেইটন দুর্ধর্ষ থ্রু বল রেখেছিলেন জেক জার্ভিসের জন্য। অমরিন্দরকে ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে পেয়েও গোল করতে পারেননি ইংরেজ স্ট্রাইকার। লো শট দারুণভাবে রুখে দেন এটিকে-মোহনবাগানের প্রাক্তন গোলরক্ষক। এরপরে দুই দলই একে অন্যের অর্ধে নিয়ম করে হানা দিচ্ছিল। ৭২ মিনিটে মরিসিও ফ্রিকিক থেকে গোল করতে পারেননি। ঠিক তার পরের মুহূর্তেই গোল হজম করে বসে ইস্টবেঙ্গল। বাঁ প্রান্তিক আক্রমণে মরিসিও ইস্টবেঙ্গল অর্ধে হানা দিয়েছিলেন। অতুলকে পেরিয়ে স্কোয়ার পাস বাড়ান নন্দকে। সেখান থেকে সমতা ফেরাতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি তিনি।