এটিকে মোহনবাগান: ০
জামশেদপুর এফসি: ৩ (বরিস সিং, হ্যারি সেওয়ার)
প্ৰথম ম্যাচে গোকুলামের বিপক্ষে দুর্ধর্ষ সূচনা করেছিল মেরিনার্সরা। পাঁচ গোলে সুপার কাপ অভিযান শুরু করে এটিকে মোহনবাগান। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই জামশেদপুর এফসির কাছে ০-৩ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে সুপার কাপ থেকে বিদায় ঘটে গেল আইএসএল জয়ীদের। রেড মাইনার্সদের হয়ে জোড়া গোল করে গেলেন বরিস সিং। বাকি গোল হ্যারি সেওয়ার্সের।
এদিনও তিন বিদেশিকে দিয়ে প্ৰথম একাদশ সাজিয়েছিলেন কোচ হুয়ান ফেরান্দো। শুরুটা হয়েছিল সেয়ানে সেয়ানে। দুই দলই গোল করার লক্ষ্য নিয়ে একে অন্যের অর্ধে আক্রমণ শানাচ্ছিল। তবে ২০ মিনিটের মাথাতেই গোল হজম করে বসে বাগান। বাঁ প্রান্ত থেকে রাফায়েল কার্বালহো বল রিসিভ করেই ক্রস বাড়ান বরিস সিংকে লক্ষ্য করে। যেখান থেকে বিশাল কাইথকে পেরিয়ে গোল করতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি বরিস।
২৫ মিনিটেই কার্বালহো ফ্রিকিক থেকে প্রায় গোল করে দিয়েছিলেন। তবে তাঁর শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। এরপরে জামশেদপুর কার্যত আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে বাগান রক্ষণকে। একের পর এক সুযোগ তৈরি করতে থাকে আইডি বুথরোয়েডের দল। ৩৭ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে জামশেদপুর ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করে গেলেও তা অফসাইডের জন্য বাতিল হয়।
তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি জামশেদপুরকে। বিরতির ঠিক আগেই জামশেদপুরের দ্বিতীয় গোলের নায়ক ঋত্বিক দাস। হঠাৎ করে গতি বাড়িয়ে বাঁ প্রান্ত থেকে ক্রস বাড়িয়েছিলেন বরিস সিংকে। সেখান থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করতে ভুল করেননি তিনি।
বিরতির পর মরিয়া হয়ে মাঠে নামে সবুজ মেরুন শিবির। বল পজেশনে এগিয়ে থাকলেও এটিকে বাগান মোটেই গোলের মুখ খুলতে পারছিল না। সংযোজিত সময়ে উল্টে বাগান তিন নম্বর গোল হজম করে ড্যানিয়েল চুকুর বদলে নামা হ্যারি সইয়ারের কাছ থেকে। দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন ঈশান পন্ডিতা। বলা ঠিক মত গ্রিপ করতে পারেননি কাইথ। হাত থেকে ছিটকে আসা বল জালে জড়িয়ে দেন সিওয়ার।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে এটিকে মোহনবাগান নামবে এফসি গোয়ার বিপক্ষে। অন্যদিকে, জামশেদপুর এফসি মুখোমুখি হবে গোকুলাম কেরালার বিরুদ্ধে।