এটিকে মোহনবাগান: ৪ (লিস্টন কোলাসো-২, বুমোস, মনবীর, কিয়ান)
গোকুলাম কেরালা: ১ (মেন্ডি)
কোঝিকোড়ে গ্রুপ সি-র প্ৰথম ম্যাচেই গোকুলাম কেরালাকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিল এটিকে মোহনবাগান। লিস্টন কোলাসোর জোড়া এবং বুমোসের গোলে বিরতির আগেই ৩-০ এগিয়ে গিয়েছিল সবুজ মেরুন শিবির। দ্বিতীয়ার্ধে মনবীর সিং ৪-০ করেন। গোকুলামের হয়ে একমাত্র স্বান্ত্বনা সূচক গোল করে যান মেন্ডি।
গ্যালেগোকে সামনে রেখে কোচ হুয়ান ফেরান্দো রক্ষণে দুই বিদেশি হিসাবে বেছেছিলেন কার্ল ম্যাকহিউ এবং স্লাভকোকে। ৬ মিনিটের মাথায় বাগানকে প্ৰথমে এগিয়ে দেন কোলাসো। বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে জোরালো শটে জাল কাঁপিয়ে দেন লিস্টন। প্ৰথমে গোল হজম করে গোকুলাম চাপে পড়ে গিয়েছিল। গোলশোধের জন্য মরিয়া হয়ে গিয়েছিল কেরালা। তবে প্ৰথম গোলের রেশ কাটার আগেই লিস্টন চোখ ধাঁধানো গোলে ২-০ করে যান। দূরপাল্লার শট চলতি মরসুমের অন্যতম সেরা হয়ে থাকল। গোকুলাম গোলকিপার শিবিনরাজ ঝাঁপিয়েও নাগাল পাননি লিস্টনের শটের।
দুই গোল শুরুতেই পেয়ে যাওয়ার পর আরও আগ্রাসী হয়ে উঠে ফেরান্দোর বাগান। মনবীর, বুমোস, গ্যালেগোরা ঝাঁজ বাড়াতে থাকেন আক্রমণে। বারবার চাপের মুখে বিরতির ঠিক আগেই তৃতীয় গোল হজম করে গোকুলাম। দুর্বল রক্ষণের সুবিধা নিয়ে বুমোস গোলকিপারের পায়ের তলা দিয়ে গোল করে যান।
৬৩ মিনিটে আসে মনবীরের চতুর্থ গোল। বাঁ দিক থেকে বুমোস অসাধারণভাবে আক্রমণে উঠেছিলেন। ডানদিকে অরক্ষিত থাকা মনবীরকে ক্রস বাড়িয়ে দেন। সেখান থেকে জালে বল জড়াতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি মনবীর।
৭১ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল করে গোকুলাম। ওমরের ফ্রিকিক ধরে বৌবা হেড নিয়েছিলেন। সেই শট নিয়ার-পোস্টে চমৎকার ফিনিশ করেন মেন্ডি।
৮০ মিনিটে তিনটে বদল ঘটান সবুজ মেরুন কোচ। শুভাশিস, বুমোস এবং ম্যাকহিউকে তুলে নামানো হয় সুমিত, পুইটিয়া এবং পেত্রাতোসকে। সংযোজিত সময়ে গোকুলাম ডিফেন্ডারের ভুলে কিয়ান নাসিরির গায়ে লেগে জালে বল জড়িয়ে যায়।
গত এক বছর চোটের কারণে বাইরে কাটাতে হয়েছিল তিরিকে। তিনি সোমবার সবুজ মেরুন জার্সিতে মাঠে নামলেন। তাঁর প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় হয়ে থাকল কেরালার মাঠে।