জাতীয় দলে সুরেশ রায়না আপাতত ব্রাত্য। অনেকেরই ধারণা উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটারকে সেভাবে সুযোগই দেওয়া হল না জাতীয় দলে। তবে তাদের দাবি নস্যাৎ করে দিলেন স্বয়ং এমএসকে প্রসাদ। জাতীয় দলের সদ্য প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান জানিয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে একদমই পারফর্ম করতে পারেননি তিনি। তাই দলের বাইরেই থাকতে হয়েছে তাঁকে।
৩৩ বছরের রায়না জাতীয় দলের হয়ে ২২৬টি ওডিআই খেলার পাশাপাশি ৭৮টি টি২০ এবং ১৮টি টেস্টও খেলেছেন। জাতীয় দলের হয়ে শেষবার রায়না খেলেন ২০১৮র জুনে ইংল্যান্ডে। তারপর থেকেই বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। গত বছরে হল্যান্ডে হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর রায়না আইপিএলে সিএসকের জার্সিতে নামতে মরিয়া ছিলেন।
পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রসাদ জানিয়েছেন, "১৯৯৯ সালে লক্ষ্মণকে যখন বাদ দেওয়া হয়েছিল। তখন ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রায় ১৪০০ রান করে ফিরে এসেছিল জাতীয় দলে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের যখন বাদ দেওয়া হয় এটাই প্রত্যাশিত।"
পুরোনো দৃষ্টান্ত এনেই প্রসাদ জানিয়েছেন, "ঘরোয়া ক্রিকেটে রায়নাকে সেভাবে ফর্মে আমরা দেখতে পাইনি। অন্যদিকে ঘরোয়া ক্রিকেট ও ইন্ডিয়া-এ দলের হয়ে দারুণ পারফর্ম করে তরুণরা উঠে এসেছে।"
২০১৮-১৯ মরশুমে উত্তরপ্রদেশের হয়ে পাঁচটা রঞ্জি ম্যাচে অংশ নিয়ে মাত্র ২৪৩ রান করেছিলেন। দুটি হাফ সেঞ্চুরি করলেও রায়না সেঞ্চুরি করতে পারেননি। গত মরশুমে আইপিএলেও সেভাবে ফর্মে পাওয়া যায়নি তাঁকে। সিএসকের হয়ে ১৭টি ম্যাচে মাত্র ৩৮৩ রান করেন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই একটি ইউটিউব চ্যানেলে রায়না জানিয়েছিলেন, তাঁকে বাদ দেওয়ার পর কোনও কারণ জানাননি নির্বাচকরা।।পাশাপাশি সিনিয়রদের ক্ষেত্রে আরো সচেতন থাকার বার্তাও দেন তিনি।
প্রসাদ অবশ্য জানিয়েছেন, "ওঁর কাছ থেকে এমন কথা শুনে খারাপ লাগছে। রেকর্ড বুকই বলবে শেষ চার বছরে নির্বাচকরা কটা রঞ্জি ম্যাচ দেখেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে রায়নার সঙ্গে কথা বলে ভবিষ্যতে ফিরে আসার রোডম্যাপ বাতলেছিলাম। সেই সময় রায়নাও আমার উদ্যোগের প্রশংসা করেছিল। এখন সম্পূর্ণ উল্টো কথা শুনে আমি বিস্মিত।"
সেই সঙ্গে তাঁর আরো সংযোজন, "একজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে যখন বাদ দেওয়া হয় তখন সে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে ফিরে আসবে এটাই প্রত্যাশিত। গ্রেট মহিন্দর অমরনাথের কথা ভাবা হোক। কতবার জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে মারকাটারি পারফর্ম করে ফিরে এসেছে।"