ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপে ছিলেন শচীন তেন্ডুলকর। তবে ভারতীয় বোলিংয়ের শচীন কে? জানিয়ে দিলেন সুরেশ রায়না। বিশ্বকাপ জয়ের নবম বর্ষপূর্তির সেলিব্রেশন চলছেই। পুরোনো সেই দিনের কথা মনে করেই এবার রায়না জানিয়ে দেন, ভারতীয় বোলিং লাইনআপের 'শচীন' ছিলেন স্বয়ং জাহির খান।
পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রায়না বলছিলেন, মাঠে আমরা যে সিদ্ধান্তই নিচ্ছিলাম। তা আমাদের পক্ষে যাচ্ছিল। জাহির সামনে থেকে বোলিং বিভাগে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। প্রত্যেকে আমাদের শক্তিশালী ব্যাটিং নিয়ে আলোচনা করছিল। আমি তো বলবো জাহির আমাদের বোলিংয়ের শচীন তেন্ডুলকর ছিল। প্রত্যেকবার বল করতে এলেই ব্রেক থ্রু দিচ্ছিল। এরপরে দলে বেশি অবদান ছিল যুবরাজের।"
জাহির বিশ্বকাপে শাহিদ আফ্রিদির সঙ্গেই যুগ্ম সর্বোচ্চ উইকেট প্রাপক হয়েছিলেন। দুজনেই ২১টি করে উইকেট দখল করেছিলেন।
বিশ্বকাপে তুখোড় ফর্মে ছিলেন জাহির খান
রায়না নিজেও নকআউট পর্বে ফর্মে ছিলেন। কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রায়না যথাক্রমে ৩৪ ও ৩৬ করেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে। সেই জয়ের কথা বলতে গিয়ে এখনও অকপটে রায়না, "প্রত্যেক বছরে এই জয় আমরা সেলিব্রেট করি। দিওয়ালি ও হোলির মতো।"
বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা এখনও ভুলতে পারেননা তারকা। রায়না বলছিলেন, "ফাইনালে প্রথমে ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কা স্কোরবোর্ডে চ্যালেঞ্জিং স্কোর খাড়া করলেও ড্রেসিংরুমের প্রত্যেকে শান্ত ছিল। কেউ স্নান করছিল, কেউ খাচ্ছিল, কেউ হয়তো আইসবাথ নিচ্ছিল। তবে প্রত্যেকেই ট্রফির কথা ভাবছিল। প্রত্যেকেই ফোকাসড ছিল। একে অন্যের সঙ্গে কথা বলছিল না।
এরপরে রায়নার সংযোজন, "প্রত্যেকের একটাই লক্ষ্য ছিল, তা হল ট্রফি জেতা। শচীন পাজি আউট হয়ে যাওয়ার পর সাজঘরে পিনড্রপ সাইলেন্স নেমে এসেছিল। তবে সবাই শান্তই ছিল। শেওয়াগ আউট হওয়ার পর গম্ভীর কীভাবে আমাদের ম্যাচে ফেরালো সেটা সবাই দেখছিল। গম্ভীর আত্মবিশ্বাসী ছিল।"
"ওর বডি ল্যাংগুয়েজ দেখে আমি ভেবেছিলাম একাই বিশ্বকাপ জিতিয়ে দেবে। ধোনি ফর্মে থাকা যুবরাজের আগে গিয়েছিল। ব্যাটিং অর্ডারে এই পরিবর্তন বড় সিদ্ধান্ত ছিল। তবে ধোনি গ্যারি কার্স্টেনকে বলেছিল, ও মুরলিধরণকে সামলাতে পারবে। তাই ধোনি আগে নেমেছিল। এখনও প্রতিটি মুহূর্ত এতটাই স্পষ্ট আমার কাছে।" জানাচ্ছিলেন রায়না।