ইংল্যান্ড: ১৬৬/৪
নিউজিল্যান্ড: ১৬৭/৫
বিশ্বকাপ ফাইনালের বদলা এল টি২০ বিশ্বকাপে। লন্ডনের দুঃস্বপ্ন ঘুচিয়ে দিল আবু ধাবি। দু বছর আগে বিশ্বকাপের ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। কুড়ি কুড়ি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সেই বদলা নিল কিউয়িরা। রুদ্ধশ্বাস সেমিফাইনালে ইংরেজদের ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল তাঁরা।
ইংল্যান্ডের ১৬৭ রান তাড়া করতে নেমে কিউয়িদের রূপকথার জয় উপহার দিলেন ওপেনার ড্যারেল মিচেল এবং ডেভন কনওয়ে। শেষদিকে নেমে ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে জয়ের কাছে পৌঁছে দেন জিমি নিশাম।
আরও পড়ুন: তারকা ক্রিকেটারদের বারবার অভিযোগ! দায়িত্ব নিয়েই বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় কোচ দ্রাবিড়
ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণের সামনে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি। ক্রিস ওকস নিজের প্ৰথম স্পেলেই ওপেনার মার্টিন গাপটিল এবং কেন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে বড়সড় ঝটকা দিয়েছিলেন। প্ৰথম তিন ওভারের মধ্যেই ১৩/২ হয়ে যাওয়ার পরে নিউজিল্যান্ডকে লড়াইয়ে নিয়ে আসে ড্যারেল মিচেল (৪৭ বলে ৭২ নটআউট) এবং ডেভন কনওয়ের (৩৮ বলে ৪৬) ৮২ রানের পার্টনারশিপে।
তৃতীয় উইকেটে দুজনে বড় রানের পার্টনারশিপ গড়লেও আদিল রশিদ, লিয়াম লিভিংস্টোনদের নিখুঁত বোলিং খাপ খুলতে দেয়নি কিউয়িদের। রানের গতি বাড়াতে গিয়েই লিভিংস্টোনের শিকার হয়ে ফিরে যান ডেভন কনওয়ে এবং গ্লেন ফিলিপস।
আরও পড়ুন: ভাগ্য সঙ্গ দিল না ইন্ডিয়ার এই পাঁচ তারকাকে! জাতীয় দল থেকে সটান বাদ
আস্কিং রেট ১৪ কাছে পৌঁছে যাওয়ার পরে কিউয়িদের হয়ে ছয় নম্বরে নেমে রুদ্ধশ্বাস ব্যাটিং করে যান নিশাম। ১১ বলে ২৭ রানের ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন একাই। ১৭তম ওভারে ক্রিস জর্ডনের এক ওভারে ২৩ রান হাঁকিয়ে যান তিনি। সেই ওভারই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যায়। আদিল রশিদের বলে নিশাম আউট হয়ে গেলেও কিউয়িদের হয়ে চমৎকার ফিনিশ করে যান ড্যারেল মিচেল। শেষ দু ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২০ রান। ১৯ তম ওভারেই সেই রান বোর্ডে তুলে দেয় কিউয়িরা।
তার আগে টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডকে টানেন দাভিদ মালান (৩০ বলে ৪১) এবং মঈন আলির (৩৭ বলে ৫১) ব্যাট। মোটামুটি রান করে যান জস বাটলার (২৪ বলে ৩৯)।
তবে এত সব করেও শেষ রক্ষা করতে পারল না। লন্ডনের বদলা এল আবু ধাবিতে। রোমাঞ্চকর ভাবেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন