Team India's t20 World Cup selection: আইপিএলে উত্তেজক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। আগামী সপ্তাহেই অনেকটা নির্ধারিত হয়ে যাবে প্লে অফে জায়গা পেতে চলেছে কোন চার দল। আইপিএলের গড়ানোর সঙ্গেসঙ্গেই টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের দল নির্বাচন নিয়েই জল্পনা চরমে উঠে গিয়েছে।
অজিত আগারকারের নেতৃত্বে আর কিছুদিনের মধ্যেই টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপের জন্য জাতীয় দলের স্কোয়াড ঘোষণা করে দেওয়া হবে। তবে জানা যাচ্ছে, আইপিএল পারফরম্যান্স নাকি দল গঠনের মাপকাঠি হবে না। নির্বাচকরা নাকি মেগা ইভেন্টের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনভিজ্ঞদের সুযোগ দিতে এখনই রাজি নন। আইপিএলে ফর্ম দেখালেও একাধিক তরুণ তারকাদের স্বপ্নভঙ্গ হতে চলেছে। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
আইপিএল পারফরম্যান্সে তাই নির্বাচকরা একদম প্রভাবিত নন। দল নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এই আইপিএল-ফ্যাক্টর বাইরে রেখে দল বাছতে বসবেন আগারকাররা। একমাত্র আইপিএলে সাড়া জাগানো যে তারকাকে নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তিনি হলেন মায়াঙ্ক যাদব। বেশ কয়েকটি ম্যাচে গতির ঝড় তুলে প্রতিপক্ষ দলকে নাস্তানাবুদ করেছেন লখনৌ সুপার জায়ান্টস পেসার। তবে তারপরেই হালকা চোট পেয়ে আপাতত বাইরে। চোট-প্রবণ মায়াঙ্ককে তাই বিশ্বকাপগামী দলে এখনই রাখতে আগ্রহী নন নির্বাচকরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কেএল রাহুল এবং ঋষভ পন্থকে বিশ্বকাপগামী দলে অনেকেই নিশ্চিত ভেবেছেন। তবে ঘটনা হল এই দুই তারকা নন, সঞ্জু স্যামসন আপাতত উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসাবে নির্বাচকদের খাতায় একনম্বরে রয়েছেন। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ভারতের টপ থ্রি ব্যাটার স্পিন খেলায় পারদর্শী নন। সঞ্জু স্পিন ভালো খেলেন।
ব্যাক আপ কিপার হিসাবে ভাবা হচ্ছে ঋষভ পন্থ এবং কেএল রাহুলকে। সেক্ষেত্রে রিঙ্কু সিং এবং শিবম দুবেকে স্কোয়াডের বাইরে রাখার মত কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।
হার্দিকের ক্ষেত্রে বিষয়টি আবার আলাদা। হার্দিকের বিরল স্কিল আপাতত জাতীয় স্তরে কারোর নেই। হার্দিক মিডিয়াম পেস বোলিং করতে পারেন। আবার লোয়ার মিডল অর্ডারে পাওয়ার হিটিং করতে পারেন। বর্তমানে তিনি ফর্মে নেই। তবে নির্বাচকরা আপাতত এই বিষয় নিয়ে ভাবছেন না। নির্বাচকদের চিন্তার জায়গা হার্দিকের বোলিং ফিটনেস। তিনি পুরো চার ওভার কোটার বোলিং করছেন না। সেই সঙ্গে তাঁর পেস-ও কমে গিয়েছে অনেকটা। হার্দিক পুরো ফিট থাকলে তাঁকে নির্বাচকরা বিশ্বকাপগামী দলে নিতেই পারেন।