আফগানিস্তান: ১৫৯/৬
নিউজিল্যান্ড: ৭৫/১০
ICC Men's t20 World Cup 2024 match report: থামানোই যাচ্ছে না আফগানিস্তানকে। প্ৰথম ম্যাচে উগান্ডাকে ছেলেখেলা করে হারিয়েছিল আফগানরা। দ্বিতীয় ম্যাচে আরও বিধ্বংসীভাবে আফগানিস্তান উড়িয়ে দিল নিউজিল্যান্ডের মত হেভিওয়েট প্রতিপক্ষকে। রহমনুল্লাহ গুরবাজ (৫৬ বলে ৮০) এবং ইব্রাহিম জাদরানের (৪১ বলে ৪৪) দুর্ধর্ষ ব্যাটে ভর করে আফগানিস্তান প্ৰথমে ব্যাট করে ১৫৯/৬ তুলেছিল। সেই রান চেজ করতে নেমেই গায়ানায় স্টেডিয়ামে মুখ থুবড়ে পড়ল কিউইরা। মাত্র ৭৫ রানে অলআউট হয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। মাত্র ১৫.২ ওভারে। ৮৪ রানের বিশাল জয় পেয়ে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ডের মত হেভিওয়েট দলের গ্রুপে আফগানরা শীর্ষে। পরের পর্বে পৌঁছনোর জন্য এখন ফেভারিট এখন তাঁরাই।
গুরবাজের ম্যাচ জেতানো ৮০-এর পর বল হাতে নিউজিল্যান্ডকে ভেঙে চুরে দিলেন ফজলহক ফারুখি এবং রশিদ খান। দুজনেই চারটে করে উইকেট দখল করেন। আন্তর্জাতিক টি২০-তে এই প্ৰথম নিউজিল্যান্ড হারল আফগানদের কাছে। তাও আবার নিজেদের টি২০ ইতিহাসের চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর করে। একদিন আগেই এসেছিল ইউএসএ-র কাছে পাকিস্তানের অপ্রত্যাশিত হার। তারপরের দিনেই ফের অঘটন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের হারে ‘হাততালি’ মাহিন্দ্রার! বাবরদের খাটো করে বিস্ফোরক পোস্ট ভারতীয় শিল্পপতির
অবশ্য অঘটন বলা যাবে কিনাজ তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। রীতিমতো কর্তৃত্ব করেই এসেছে কাবুলিওয়ালার দেশের জয়। নিউজিল্যান্ডকে কখনই ম্যাচে মনে হয়নি তাঁরা সামর্থ্য-শক্তিতে আফগানিস্তানের থেকে যোজন এগিয়ে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে স্ট্যাম্প তো বটেই ক্যাচ মিস এমনকি ব্যাট করতে নেমেও কিউইদের ছন্দে পাওয়া যায়নি।
ব্যাট হাতে নেমে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন কেকেআরের গুরবাজ। মাত্র ৫৪ বলে ৮০ করে যান গায়ানায় স্লো পিচে। ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতেই ১০৪ তুলে দিয়ে গুরবাজ ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন শুরুতেই। উগান্ডার বিরুদ্ধেও দুজনে ১৫৪ রানের ম্যারাথন পার্টনারশিপ উপহার দিয়েছিলেন। তবে দুজনেই একটি করে জীবন পান।
কিউই উইকেটকিপার ডেভন কনওয়ে ইনজুরি কাটিয়ে এই ম্যাচেই ফিরলেন। তবে প্রত্যাবর্তন মোটেই সুখের হল না তাঁর। দুটো সহজ স্ট্যাম্পিং মিস করে বসেন তিনি। দুই আফগান ওপেনার ঝড় তোলার পর তিনে নামা আজমাতুল্লা ওমরজাই ১৩ বলে ২২ রানের ক্যামিওয় দলকে ১৬০-এর আশেপাশে পৌঁছে দেন।
উগান্ডার বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন ফজলহক ফারুখি। সেই ফজলহকেই কিউইদের ইনিংস খতম হয়ে গেল। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ওপেনার ফ্যাবিয়েন এলেনকে আউট করেন আফগান পেসার। পাওয়ারপ্লে-তে ফজলহকের পাওয়ার এতটাই ছিল যে ১৩ টা ডট বল করেন তিনি। নিউজিল্যান্ড পাওয়ার প্লেতেই ৩৩/৩ হয়ে গিয়ে ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকে গিয়েছিল।
প্রাথমিক বিপর্যয় সামলানোর দায়িত্ব ছিল ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসনের ওপর। তবে রশিদ খান নিজের স্পেলের শুরুর বলেই ফিরিয়ে দেন কিউই নেতাকে। তারপর স্লো মন্থর পিচে নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডার একদম ছারখার করে দেন রশিদ খান। রশিদ খানের সঙ্গেই মিডল ওভারে বল হাতে যোগ্য সহায়তা করেন মহম্মদ নবি। তিনি ২ উইকেট দখল করেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে গ্লেন ফিলিপস (১৮) এবং ম্যাট হেনরি (১২) বাদে কোনও ব্যাটার-ই ১০-এর গন্ডি পেরোতে পারেননি।