আফগানিস্তান: ৫৬/১০ (১১.৫ ওভার)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৬০/১ (৮.৫ ওভার)
South Africa vs Afghanistan Match Report: তারুবার ব্রায়ান লারা ক্রিকেট স্টেডিয়াম স্বপ্নভঙ্গ এবং একই সঙ্গে স্বপ্নপূরণের কাহিনী দেখল। টি২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে স্বল্পতম সেমিফাইনাল জিতে নকআউট পর্বের ভূত তাড়িয়ে ফাইনালে প্ৰথমবার পৌঁছল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর প্ৰথমবার সেমিতে পৌঁছনো আফগানিস্তান একপেশে ভাবে আত্মসমর্পণ করে বসল প্রোটিয়াজ সিংহের কাছে। দু-ঘন্টার মধ্যেই সেমিফাইনালের লড়াই শেষ। ১১.৫ ওভার টিকেছিল আফগানিস্তানের ব্যাটিং। স্কোরবোর্ডে রশিদ খানরা তুলেছিলেন মাত্র ৫৯ রান। ৮.৫ ওভারে সেই রান চেজ করে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ডিকক আউট হলেও রেজা হেন্ড্রিক্স (২৫ বলে ২৯) এবং আইডেন মার্করামের (২১ বলে ২৩) ক্যামিও প্রোটিয়াজদের জিতিয়ে দেয়।
টসে জিতে প্ৰথমে ব্যাটিং নিয়েছিলেন আফগান নেতা রশিদ খান। তবে তাঁদের জন্য যে এরকম দুঃস্বপ্নের হয়ে থাকবে সেমিফাইনাল, তা কেউই আঁচ করতে পারেননি। নকআউট পর্বে চোকার্স তকমা বরাবরের সঙ্গী দক্ষিণ আফ্রিকার।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই খতম। মার্কো জ্যানসেনের ওপেনিং স্পেল দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছিল আফগানিস্তানের স্বপ্ন। তারপর তাব্রিজ শামসি (৬/৩), কাগিসো রাবাদা (১৪/২) এবং আনরিখ নকিয়ার (৭/২) বোলিংয়ে ধুলিস্মাৎ হয়ে যায় আফগানদের স্বপ্ন।
আজমাতুল্লা ওমরজাই (১২ বলে ১০) বাদে কোনও আফগান ব্যাটারই দুই অংকের রানে পৌঁছতে পারেননি। তিন জন আফগান ব্যাটার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। এতেই স্পষ্ট আফগানদের ব্যাটিং ব্যর্থতা। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় সেমিফাইনালের (ভারত বনাম ইংল্যান্ড) বিজয়ী দলের মুখোমুখি হবে।
রশিদ খান ম্যাচের পরে স্বীকার করে নিয়েছেন, "আমরা দলগতভাবে এর তুলনায় অনেক ভালো খেলতে পারি। রাতটা কঠিন হয়ে থাকল আমাদের কাছে। কন্ডিশন চ্যালেঞ্জিং ছিল। মানসিকভাবে আমাদের সমস্ত রকমের পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে। আমরা মোটেই ভালো ব্যাট করতে পারিনি। মুজিবের চোটের পর থেকেই সমস্যা শুরু হয়েছিল আমাদের। তবে নবি, ফজল সকলেই আমাদের কাজ সহজ করে দিয়েছিল। বোলিং ইউনিটের এই ধারাবাহিকতা বেশ সন্তোষজনক। টুর্নামেন্টের আগেই আমরা এখানে এসেছিলাম। তখন কেউ যদি আমাদের বলত আমরা সেমিতে খেলব, আমি মেনে নিতাম।"