বাংলাদেশ: ১৫০/৭
জিম্বাবোয়ে: ১৪৬/৭
পাকিস্তানকে আগের ম্যাচে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়েছিল জিম্বাবোয়ে। পাকিস্তানের পর এবার বাংলাদেশ ঘাতক হিসাবেও প্রায় অবতীর্ণ হয়ে গিয়েছিল আফ্রিকান দলটি। তবে শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস থ্রিলারে হার হজম করতে হল জিম্বাবোয়েকে।
১৫১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে জিম্বাবোয়ের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৬ রান। প্ৰথম বলেই মোসাদ্দেক হোসেন ব্র্যাড ইভান্সকে ফিরিয়ে ঝটকা দিয়েছিলেন। তবে নাটকীয়ভাবে রিচার্ড নাগাভারা পরপর দু-বলে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচে টেনশন হাজির করে দেন। শেষ তিন বলে জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় মাত্র ৬ রানের। তবে মোসাদ্দেক হোসেন নাগাভারাকে স্ট্যাম্প আউট করিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশের ১৫০ রানের জবাবে জিম্বাবোয়ে নির্ধারিত ২০ অভারে ফিনিশ করে ১৪৭/৭-এ।
শেষ বলে ব্লেসিং মুজরাবানি স্ট্যাম্প আউট হতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন মোসাদ্দেক হোসেন। পরে রিপ্লেতে দেখা যায় উইকেটকিপার নুরুল হাসান উইকেটের আগেই বল সংগ্রহ করেছেন। আম্পায়ার নো বল দিয়ে খেলা চালু রাখেন। শেষ বলে জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ৪ রানের। তবে মাথা ঠান্ডা রেখে আর কোনও রান খরচ করেননি মোসাদ্দেক হোসেন। বাগে পেয়েও জিম্বাবোয়ে এভাবে শেষ বলের থ্রিলারে হার মানল বাংলাদেশের কাছে।
তার আগে জিম্বাবোয়ে রান তাড়া করতে নেমে একসময় কার্যত ধসে গিয়েছিল তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমানের সামনে। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই জিম্বাবোয়ের টপ অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছিলেন দুই বাংলাদেশি পেসার। পাক ম্যাচের নায়ক সিকান্দার রাজা এদিন ব্যাট-বলে দুইয়েই ব্যর্থ। যাইহোক, ৩৫/৪ হয়ে যাওয়ার পরে জিম্বাবোয়ের ইনিংসের হাল ধরেন শন উইলিয়ামস এবং রেজিস চাকাভা। দুজনে পঞ্চম উইকেটে ৩৪ রান যোগ করে যান। চাকাভাকে তাসকিন ফেরানোর পরে রায়ান বার্লের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টানতে থাকেন উইলিয়ামস। দুজনে ষষ্ঠ উইকেটে ৬৩ রান যোগ করে দলকে প্রায় জয়ের সীমানায় পৌঁছে দেন।
তবে ১৯ তম ওভার ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। শাকিব এল হাসান দুর্ধর্ষ ফিল্ডিংয়ে জিম্বাবোয়ের ব্যাটিং টানতে থাকা শন উইলিয়ামসকে (৪২ বলে ৬৪) আউট করে দেন। ক্রিজে তখনও ছিলেন রায়ান বার্ল। ১৯ তম ওভার শেষে জিম্বাবোয়ে ১৩৫/৬ ছিল। শেষ ওভারে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনাও সঞ্চার করেন চাকাভা। তবে শেষ রক্ষা আর হল না! ম্যাচের সেরা তাসকিন আহমেদ। নিজের ৪ ওভারের কোটায় মাত্র ১৯ রান খরচ করে তিনজনকে আউট করেন তাসকিন। মুস্তাফিজুরও ৪ ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে নেন ২ উইকেট।
প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫০ তুলেছিল নাজমুল হোসেন শান্ত-র ৫৫ বলে ৭১ রানের দুরন্ত ইনিংসে ভর করে। শাকিব আল হাসান (২০ বলে ২৩) এবং আফিফ হোসেন (১৩ বলে ২৯) ব্যাট হাতে অবদান রাখেন।