রুদ্ধশ্বাস বাংলাদেশ-ম্যাচ জিতে ভারত সেমিফাইনালে কার্যত পৌঁছে গিয়েছে। টানটান থ্রিলারে ভারত ৫ রানে বাংলাদেশকে হারিয়েছে। তবে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ এবারেও বিতর্কহীন থাকল না। জোড়া ঘটনায় তীব্র বিতর্কের আঁচ লেগে গিয়েছে বিশ্বকাপে। কোহলি আম্পায়ারের কাছে নো বল চাওয়ায় প্রকাশ্যেই রেগে গিয়েছিলেন বাংলাদেশি ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান। পরে কোহলির ফেক ফিল্ডিং ঘিরে তুলকালাম পড়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশের দাবি কোহলির ফেক ফিল্ডিংয়ের জন্য তাঁদের পাঁচ রান পেনাল্টি বাবদ পাওয়া উচিত। বাংলাদেশ ইনিংসের সপ্তম ওভারের ঘটনা। অক্ষর প্যাটেলের বলে ডিপ অফসাইডে বল ঠেলেছিলেন লিটন। ফিল্ডার আর্শদীপ সিং বল পাঠিয়ে দেন কিপার দীনেশ কার্তিকের উদ্দেশ্যে। তবে পয়েন্টে দাঁড়ানো কোহলি আঙ্গুল তুলে বল ধরার ভান করে নন স্ট্রাইকিং এন্ডে ছোঁড়ার ভুয়ো ইঙ্গিত করেন। যেন বল তাঁর কাছ দিয়েই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কোহলির চাপে নুইয়ে পড়ছেন আম্পায়াররা! নখ-দাঁত বের করে বিরাটকে এবার আক্রমণ ইউনিসের
এমন ঘটনা অনফিল্ড আম্পায়ার মরিস ইরাসমাস, ক্রিস গ্যাফানির নজর এড়িয়ে যায়। বাংলাদেশের অন্য ব্যাটসম্যান নাজমুল হাসান শান্তও আম্পায়ারদের বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেননি। আম্পায়ার এবং বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের বিষয়টি নজর এড়িয়ে গেলেও ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে যান বাংলাদেশের কিপার-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান, “মাঠ পুরোপুরি ভেজা ছিল। সেটা সকলেই দেখেছেন। এসব কথার মধ্যে আরও একটা বিষয়, ফেক থ্রো-য়ের ঘটনাও ঘটেছে। এতে পেনাল্টি সমেত পাঁচ রান পেতে পারতাম আমরা। সেটা আমাদের পক্ষেই যেত। তবে দুর্ভাগ্যবশত, সেটা আর হয়নি।”
আরও পড়ুন: কোহলি ‘চুর’! ভারতের কাছে হেরে যেতেই ভয়ঙ্কর প্রতারণার অভিযোগে বিষ্ফোরণ বাংলাদেশি কিপারের
তবে কোহলির কাণ্ডে এখনই রণে ভঙ্গ দিচ্ছে না বাংলাদেশ। সরাসরি বৃহত্তর ক্ষেত্রে বিষয়টি তুলে ধরার হুমকি দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট অপারেশন চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
তিনি জানিয়েছেন, "নিজেদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সকলেই সামনেই টিভিতে ঘটনাটি ঘটেছে। ফেক থ্রো-য়ের ঘটনা আমরা আম্পায়ারকে জানাই। তবে আম্পায়ারদের তরফে বলা হয়, তাঁরা বিষয়টি লক্ষ্য করেননি। তাই রিভিউ-ও নেওয়া হয়নি। সাকিব বিষয়টি নিয়ে ইরাসমাসের সঙ্গে কথা বলেছিল ম্যাচের পরেও।"
আরও পড়ুন: কোহলির ওপর ক্ষেপে লাল সাকিব, ধাক্কাধাক্কি হওয়ার উপক্রমও হল! দেখুন গনগনে ভিডিও
"দ্বিতীয়ত, সাকিব ভিজে মাঠ নিয়ে অভিযোগ জানায়। আরও বেশি সময় নেওয়ার কথা বলে সাকিব। মাঠ কিছুটা শুকিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচ শুরু করার পক্ষপাতী ছিল সাকিব। তবে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সেই জন্যই এখানে তর্ক-বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই। একটাই সিদ্ধান্ত হতে পারত, খেলব নাকি খেলব না! সমগ্র ঘটনাটি আমাদের মাথায় আছে। উপযুক্ত ফোরামে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হবে।"
কোহলি-বিতর্ক এত সহজে মিটবে বলে মনেই হয় না!