গতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ অভিযান খতম হয়ে গেল শনিবার। ইংল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ওপর নির্ভর করছিল অজিদের সেমি-ভাগ্য। শ্রীলঙ্কার হাতে ইংল্যান্ডের হারের প্রত্যাশায় ছিল ক্যাঙ্গারুরা। তবে অঘটন হয়নি। লড়াই দিয়েও শ্রীলঙ্কা শেষমেশ চার উইকেটে হারতেই অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ-বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপের প্ৰথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে ওঠার যোগ্যতা অর্জন করেছিল নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়াও কোনওরকমে আফগানিস্তানকে হারিয়ে সেমির আশা জিইয়ে রেখেছিল। তবে তাঁদের সেমি-ভাগ্য পুরোটাই ছিল ইংল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ওপর। গ্রুপের পাঁচ ম্যাচের শেষে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া তিন দলই আপাতত তিন জয় সমেত ৭ পয়েন্টে। তবে নেট রান রেটে বাজিমাত করল কিউই এবং ইংরেজরা।
নিশঙ্কা আউট হওয়ার পরে শ্রীলঙ্কা ১১৮/৪ হয়ে গিয়েছিল। এরপরেই এলোমেলো হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার রান তোলার গতি। শেষ ২৭ বলে শ্রীলঙ্কা ২৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি। শুরুটা ভালো না হলেও ইংল্যান্ডের বোলাররা শেষদিকে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে দেন।
১৪২ রানের টার্গেট সামনে রেখে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডকে চালকের আসনে বসিয়ে দেয় হেলস (৩০ বলে ৪৭)-বাটলারের (২৩ বলে ২৮) ওপেনিং পার্টনারশিপ। দুজনে ওপেনিং জুটিতে ৭৫ রান তুলে যান।
Hales heaves it for six!
Iconic moments like this from every game will be available as officially licensed ICC digital collectibles with @0xFanCraze
যখনই মনে হচ্ছিল শ্রীলঙ্কাকে সহজেই হারিয়ে দেবে ইংল্যান্ড। তখনই লঙ্কানদের ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন হাসারাঙ্গা। পরপর দু-ওভারে হাসারাঙ্গা দুই ওপেনারকেই আউট করে দেন। ওপেনার-দ্বয় আউট হওয়ার পরে হঠাৎ করেই ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারে বিপর্যয় নেমে আসে। মাত্র ৪৭ রান যোগ করার ফাঁকে ইংল্যান্ড আরও চার উইকেট হারায়। এরপরেই ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান বেন স্টোকস। দলের প্রয়োজনে বিপদের মুখে ৩৬ বলে ৪২ তুলে দলকে জয়ের সীমানায় পৌঁছে দেন। শেষ ওভারে ওকস বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিনিশিং টাচ দেন।