নিউজিল্যান্ড: ১৬৭/৭ শ্রীলঙ্কা: ১০২/১০
আইপিএল আগেই তাঁর পাওয়ার হিটিংয়ের সন্ধান পেয়েছিল। এবার বিশ্বকাপের মঞ্চ দেখল তাঁর ব্যাটের জোর। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গ্লেন ফিলিপসের ব্যাটে ভর করেই নিউজিল্যান্ড শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখল। ৬৬ রানে লঙ্কানদের হারিয়ে দিল কিউইরা। প্ৰথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড স্কোরবোর্ডে ১৬৭/৭ তুলেছিল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে যায় মাত্র ১০২ রানে। পুরো ২০ ওভারও রান চেজ করতে পারেননি হাসারাঙ্গারা।
টসে জিতে সিডনিতে প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমেছিল ব্ল্যাকক্যাপসরা। তবে ক্যাপ্টেন কেনের সেই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে যায় শুরুতেই। প্ৰথম চার ওভারের মধ্যেই ১৫/৩ হয়ে গিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল কিউইরা। শুরুতেই আউট হয়ে যান ফিন এলেন (১), ডেভন কনওয়ে (১), কেন উইলিয়ামসন (১)। এরপরে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের পুরোটাই গ্লেন ফিলিপস ময়।
আরও পড়ুন: এই ৫ অঙ্কেই ঢলে পাকিস্তানের সেমিফাইনাল ভাগ্য! জোড়া হারের পর ভারতকেও এখন সমর্থন বাবরদের
বিশ্বকাপে প্ৰথম সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করলেন না। ৬৪ বলে ১০৪ রানের ইনিংসে ফিলিপস ১০টা বাউন্ডারির সঙ্গে হাঁকালেন ৪টে বিশাল ছক্কাও। চতুর্থ উইকেটে ড্যারেল মিচেলের (২৪ বলে ২২) সঙ্গে ৮৪ রানের জুটি গড়ে যান। মিচেল আউট হয়ে যাওয়ার পরে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে দলকে লড়াই করার মত জায়গায় পৌঁছে দিলেন তিনি। শেষ ওভারে যখন তিনি আউট হলেন, তখন নিউজিল্যান্ডের হাতে রীতিমত বড়সড় পুঁজি।
১৬৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কা কার্যত কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ২৪/৫ হয়ে গিয়ে লজ্জাজনক রেকর্ডের মুখে দাঁড়িয়েছিল লঙ্কানরা। ট্রেন্ট বোল্টের সামনে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পন করে বসে লঙ্কান বাহিনী। যাইহোক, রাজাপক্ষে (৩৪) এবং হাসারাঙ্গা (৩৫) রান করে দলকে কোনওরকমে একশো পার করিয়ে দেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের রানেও পৌঁছতে পারেনি। বোল্ট ৪ ওভারের কোটায় মাত্র ১৩ রান খরচ করে তুলে নেন ৪ উইকেট। ইশ সোধি এবং মিচেল স্যান্টনারও দুটো করে উইকেট নেন।