পাকিস্তানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার ইংল্যান্ড টি২০ বিশ্বকাপ জয়ী হল মেলবোর্নে। রবিবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পাকিস্তানকে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে হারিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। বেন স্টোকস এবং মঈন আলির ব্যাটে ভর করে ইংল্যান্ড চাপের মুখে জয়ের শিরোপা অর্জন করে। অন্যদিকে মোক্ষম মুহূর্তে শাহিন আফ্রিদির চোট পাকিস্তানকে আরও ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়।
পাকিস্তানি সিমাররা সাততাড়াতাড়ি আলেক্স হেলস এবং জস বাটলারকে ফিরিয়ে দিয়েছিল। হেলস ১ রানে আফ্রিদির বলে আউট হওয়ার পরে বাটলার পাওয়ার প্লে-র একদম শেষ ওভারে আউট হয়ে যান। দাভিদ মালানের পরিবর্ত হিসাবে নামা ফিল সল্টও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১০ রান করে হ্যারিস রউফের বলে আউট হয়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন: একেই বলে কর্মফল! ফাইনালে পাকিস্তান হারতেই শোয়েবকে ধুয়েমুছে সাফ করলেন মহম্মদ শামি
এরপরে পুরোটাই বেন স্টোকস শো। চাপের মুহূর্তে প্ৰথম দিকে সিঙ্গলস নিয়ে শেষদিকে রণমূর্তি ধরেন ইংরেজ তারকা ওপেনার। ম্যাচ ফিনিশ করে ২০১৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপের শাপমোচন করেন তিনি।
তার আগে চেনা ফর্মুলায় টসে জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাট করতে পাঠানোয় দ্বিধা করেননি জস বাটলার। পাকিস্তান এমসিজিতে শুরুটা মোটেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে করতে পারেনি। ১৪ বলে ১৫ করে মহম্মদ রিজওয়ান আউট হয়ে গিয়েছিলেন। মহম্মদ হ্যারিসও মনে রাখার মত দিন উপহার দিতে পারেননি দর্শকদের। সাত তাড়াতাড়ি ফেরেন তিনিও।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হারিয়ে ঐতিহাসিক প্রতিশোধ ইংল্যান্ডের! স্টোকসের ব্যাটে তছনছ বাবরদের চ্যাম্পিয়ন-স্বপ্ন
আর পাকিস্তানি ব্যাটিংকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন আদিল রশিদ এবং স্যাম কুরান। চলতি বিশ্বকাপে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন রশিদ। তিনি চার ওভারের কোটায় ফাইনালে মাত্র ২২ রান খরচ করে তুলে নেন জোড়া উইকেট। চলতি টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ডেলিভারিতে তিনি এদিন ফেরান পাক ক্যাপ্টেন বাবর আজমকে। রশিদের গুগলি পড়তে না পেরে তাঁর হাতেই ক্যাচ তুলে বিদায় নেন বাবর আজম।
আর ম্যাচের সেরা স্যাম কুরান বল হাতে আসল ফারাক গড়ে দেন। চার ওভারের স্পেলে ১২ রান খরচ করে কুরানের শিকার তিন জন পাক ব্যাটসম্যান। ক্রিস জর্ডনও স্লগ ওভারে দুই উইকেট শিকার করে যান। শন মাসুদ ২৮ বলে ৩৮ করে পাকিস্তানের টপ স্কোরার। পরপর উইকেট হারিয়ে পাক ব্যাটিং লাইন আপ কখনই সেভাবে ছন্দ খুঁজে পায়নি। নির্ধারিত ২০ ওভারে কোনওরকমে ১৩৭/৮ তুলতে সমর্থ হয়।
আরও পড়ুন: কোহলি-রোহিতদের কুৎসিত অপমান পাক প্রধানমন্ত্রীর! পাল্টা তোপ দেগে বিস্ফোরণ পাঠানের
বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে ইংল্যান্ড আইসিসির তরফ থেকে পাচ্ছে ১৩.৮৪ কোটি টাকা। রানার্স দল হিসেবে পাকিস্তান অর্জন করছে ৭.৪০ কোটি টাকা। দুই সেমিফাইনালিস্ট দল ভারত এবং নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া অর্থের পরিমাণ অবশ্য ভিন্ন। ভারত যেখানে পাচ্ছে ৪.৫০ কোটি টাকা। সেখানে অন্য সেমিফাইনালিস্ট দল হিসেবে কিউইদের দেওয়া হচ্ছে ৪.১৫ কোটি টাকা। সুপার-১২ পর্বে একটি ম্যাচ অতিরিক্ত জয়ের সুবাদে ভারতের আর্থিক পুরস্কারের অঙ্কও বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে দেওয়া নেদারল্যান্ডস পাচ্ছে ১.৮৫ কোটি টাকা।