নামিবিয়ার শ্রীলঙ্কাকে হারানো দিয়ে বিশ্বকাপের অঘটনের সূত্রপাত ঘটেছিল। সেই অঘটনের পরিসমাপ্তি ঘটল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছিটকে যাওয়ার মাধ্যমে। সুপার-১২ শুরুর ঠিক আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিল আয়ারল্যান্ড। নয় উইকেটে আইরিশরা বিদায় ঘটিয়ে দিল টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হোবার্টে আয়ারল্যান্ডকে ফিল্ডিং করতে পাঠিয়েছিল। সিমি সিং এবং ব্যারি ম্যাককার্থি আয়ারল্যান্ডকে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই। দুই ক্যারিবীয় ওপেনারকেই ফেরত পাঠান তাঁরা। এতে রান তোলার গতি মারাত্মক ভাবে ধাক্কা খায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এরপরে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে। তবে অন্য প্রান্তে ব্রেন্ডন কিং একা ক্যারিবীয় ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান। হাফডজন বাউন্ডারি এবং একটা ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে কিং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছে দেন। শেষদিকে অডিয়ন স্মিথ ১২ বলে ১৯ করে ক্যারিবিয়ানদের সাহায্য করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৬/৫-এ ফিনিশ করেন। সেই রান তাড়া করে আয়ারল্যান্ড জিতল ১৫ বল বাকি থাকতে, হাতে ৯ উইকেট নিয়ে।
বল হাতে টুর্নামেন্টের সফলতম দলকে চমকে দেওয়ার পরে ব্যাট হাতে অপ্রতিরোধ্য আয়ারল্যান্ড। প্ৰথম থেকেই আইরিশ ওপেনাররা বিধ্বংসী মেজাজে ধরা দেয় হোবার্টে। পল স্টার্লিং (৪৮ বলে ৬৬) এবং এন্ড্রু বলবির্নি ৪৫ রান করে দলের ইনিংসের রিংটোন সেট করে দেন।
আকিল হোসেন ব্রেকথ্রু দিলেও তাতে কাজের কাজ হয়নি। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান লোরক্যান ট্যাকার (৩৭) ইনিংসের হাল ধরেন পল স্টার্লিংয়ের সঙ্গে। স্টার্লিং শেষ পর্যন্ত নিজের কেরিয়ারের ২১ তম টি২০ হাফসেঞ্চুরি করে যান। ৩২ বছরের তারকা আইরিশ ক্রিকেটার এই মুহূর্তে বিশ্বের পঞ্চম সর্বোচ্চ টি২০ রান সংগ্রহকারী। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান সফলভাবে চেজ করার পথে টি২০-তে ৩০০০ রানের গন্ডিও পেরিয়ে যান।
এর আগে স্কটল্যান্ডের কাছে ৪২ রানে হেরে টুর্নামেন্টের সূচনা করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ৩১ রানে জিতে দারুণ কামব্যাক ঘটিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্যদিকে, আয়ারল্যান্ড আবার ৩১ রানে জিম্বাবোয়ের কাছে হেরে বসেছিল প্ৰথম ম্যাচেই। তবে স্কটল্যান্ডের কাছে হাইস্কোরিং ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতে প্রত্যাবর্তন ঘটায় আইরিশরা।
শুক্রবার জিম্বাবোয়ে বনাম স্কটল্যান্ড ম্যাচের বিজয়ী দল দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার-১২ পর্বে পৌঁছবে।