নিউজিল্যান্ড: ১৫২/৪
পাকিস্তান: ১৫৩/৩
ভারত-পাক ফাইনাল ম্যাচের সম্ভবনা জিইয়ে থাকল। প্ৰথম সেমিফাইনালে সিডনিতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল পাকিস্তান। জয়ের জন্য ১৫৩ রানের টার্গেট পাকিস্তান চেজ করল ৫ বল বাকি থাকতে। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে।
ওয়ানডে এবং টি২০-দুই ফরম্যাটের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এর আগে যতবার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ততবারই ব্ল্যাক ক্যাপসরা হার হজম করেছে। সিডনিতেও সেই ট্র্যাডিশন পাল্টাতে পারলেন না কেন উইলিয়ামসনরা। প্ৰথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড স্কোরবোর্ডে ১৫২/৪-এর বেশি তুলতে পারেনি।
আরও পড়ুন: রোহিতকে ছাড়াই কি ভারত নামবে সেমিফাইনালে! বড় দুঃসংবাদের ইঙ্গিত মিলল মঙ্গলবার
বিশ্বকাপে কেন উইলিয়ামসনের টি২০-তে অপরিহার্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বারবারই কিউই নেতা স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। পাকিস্তান ম্যাচ সেই প্রশ্ন রয়ে গেল। সিডনির কিছুটা মন্থর পিচে ৪২ বলে করলেন মাত্র ৪৬। দলের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার হওয়া সত্ত্বেও ক্যাপ্টেন কেন প্রশ্নবিদ্ধ। পাকিস্তান ম্যাচের পরে।
পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই দুই ওপেনার ফিন এলেন (৪) এবং ডেভন কনওয়েকে (২১) হারিয়ে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড। গ্লেন ফিলিপসও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ক্রিজে। ৪৯/৩ হয়ে যাওয়ার পর নিউজিল্যান্ডকে মাঝের ওভারে টানলেন ক্যাপ্টেন কেন এবং ড্যারেল মিচেল। দুজনে তৃতীয় উইকেটে ৬৮ রান যোগ করে যান। ১০৯.৫২ স্ট্রাইক রেটে হাফসেঞ্চুরির ঠিক আগেই আউট হয়ে যান উইলিয়ামসন। তবে কিউইদের রান দেড়শো পেরোতে সাহায্য করেন ড্যারেল মিচেল (৩৫ বলে ৫৩) এবং কিছুটা জিমি নিশাম (১২ বলে ১৬)।
আরও পড়ুন: বিরাট বদল KKR কোচিং স্টাফে! দু-বার IPL জয়ী নাইট তারকাই ফিরলেন পুরোনো দলে
পাকিস্তানের জার্সিতে প্রত্যেক ম্যাচেই নিজের জাত চেনাচ্ছেন শাহিন আফ্রিদি। বাংলাদেশ ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষকে। কিউই ম্যাচেও ফারাক গড়ে দিল তাঁর স্পেল। ওপেনার ফিন এলেনকে যেমন ইনিংসের একদম শুরুর দিকে লেগ বিফোর করে ধাক্কা দিয়েছিলেন। স্লগ ওভারে মোক্ষম সময়ে কেন উইলিয়ামসকে বোল্ড করে নিউজিল্যান্ড ইনিংসকে বেশি বাড়তে দেননি। মাত্র ২৪ রানের বিনিময়ে তাঁর শিকার এদিন ২ ব্যাটসম্যান।
দেড়শোর সামান্য বেশি রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের কাজ একদম সহজ করে দেন দুই ওপেনার বাবর আজম (৪২ বলে ৫৩) এবং মহম্মদ রিজওয়ান (৪৩ বলে ৫৭)। ১০৫ রানের পার্টনারশিপে দুজনেই হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে যান।
বোল্ট ওপেনিং জুটিতে ভাঙন ধরানোর পর মহম্মদ হ্যারিসের সঙ্গে জুটি বেঁধে পাকিস্তানকে জয়ের সীমানায় পৌঁছে দিয়েছিলেন মহম্মদ রিজওয়ান। তবে শেষদিকে রিজওয়ান বোল্টের হাই-ফুলটস বলে আউট হয়ে যাওয়ার পরে ম্যাচে সামান্য সময়ের জন্য টেনশন হাজির হয়ে গিয়েছিল। তবে তাতে জয় পেতে অসুবিধা হয়নি গ্রিন আর্মিদের। মহম্মদ রিজওয়ানের আউটের ক্ষেত্রে ডেলিভারি কোমর-উচ্চতার বেশি ছিল কিনা, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন থাকছে।
কিউইদের হারের পিছনে অবশ্য ফিল্ডিংও দায়ী থাকছে। যে ফিল্ডিংয়ের জন্য বিশ্ব ক্রিকেটে সুপ্রসিদ্ধ ব্ল্যাক ক্যাপসরা, তারাই কিনা এদিন বেশ কয়েকটি সহজ ক্যাচের সুযোগ হাতছাড়া করল। রিজওয়ানকে ফেললেন স্যান্টনার। শেষের দিকে চাপের মুহূর্তে মহম্মদ হ্যারিস জীবন পেলেন ইশ সোধি ক্যাচ মিস করে বসায়।