পাকিস্তানের সেমিফাইনালে পৌঁছনো ভেন্টিলেশনে চলে গিয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকাকে দাপটে হারিয়ে শেষ চারে ওঠার বিষয়ে এখন ফেভারিট পাকিস্তানই। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডার্কওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৩৩ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাস্ত করল পাকিস্তান।
প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১৮৫/৯ তুলেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার রান চেজ করার সময় ইনিংসের মাঝপথেই বৃষ্টি নামে। পরিবর্তিত অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য ১৪ ওভারে টার্গেট দাঁড়ায় ১৪১। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৮-এর বেশি তুলতে পারেনি।
আরও পড়ুন: কোহলির চাপে নুইয়ে পড়ছেন আম্পায়াররা! নখ-দাঁত বের করে বিরাটকে এবার আক্রমণ ইউনিসের
প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৩/৪ হয়ে গিয়ে পাকিস্তান একসময় ব্যাপক বিপদে পড়ে গিয়েছিল। তবে শাদাব খান এবং ইফতিকার আহমেদের (৩৫ বলে ৫১) দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি পাকিস্তানকে ১৮৫ রানের শৃঙ্গে পৌঁছে দেয়। মাত্র ২০ বলে হাফসেঞ্চুরি করে শাদাব খান (২২ বলে ৫২) দ্রুততম পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসাবে ফিফটি করার নজির গড়ে যান সিডনিতে। আনরিখ নর্জে ৪ উইকেট নিলেও ৪১ রান খরচ করে বসেন।
আরও পড়ুন: প্রোটিয়াজদের হারালেও এখনও শেষ চার নিশ্চিত নয়! তিন অঙ্কের সুতোয় ঝুলছে পাকিস্তানের ভাগ্য
বড়সড় রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় শাহিন আফ্রিদির ঝটকায়। শুরুতেই পাক পেসার দুই প্রোটিয়াজ তারকা রিলি রসৌ এবং কুইন্টন ডিকককে ফিরিয়ে দেন। তবে তেমবা বাভুমা ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন। আইডেন মারক্রামের সঙ্গে ৪৯ রানের পার্টনারশিপে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন প্রোটিয়াজ ক্যাপ্টেন।
তবে ব্যাট হাতে ভেলকি দেখানোর পর শাদাব খান বোলিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু দিয়ে যান পরপর আইডেন মারক্রাম এবং বাভুমাকে (১৯ বলে ৩৬) ফিরিয়ে।
আরও পড়ুন: কোহলি ‘চুর’! ভারতের কাছে হেরে যেতেই ভয়ঙ্কর প্রতারণার অভিযোগে বিষ্ফোরণ বাংলাদেশি কিপারের
৯ ওভার খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ডিআরএস নিয়মে ১৬ রান পিছিয়ে ছিল। প্রায় ৩০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ওভার সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। ছয় ওভার কমিয়ে ১৪ ওভারে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা টার্গেট দাঁড়ায় ১৪২-এ। অর্থাৎ শেষ পাঁচ ওভারে প্রোটিয়াজদের তুলতে হত ৭৩ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার মাস্টার রান চেজার ডেভিড মিলার এই ম্যাচেই ছিলেন না। হেনরিখ ক্লাসেন, ট্রিস্টান স্টেবসের ওপর দায়িত্ব ছিল দুর্দান্ত রান চেজ করার। তবে সেই কাজে তাঁরা সফল হননি।
নির্ধারিত ১৪ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা পরপর উইকেট হারিয়ে ১০৮/৯-এ থেমে যায়। জিতে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পরেই তৃতীয় স্থানে উঠে এল পাকিস্তান। সেমিতে যাওয়ার জন্য গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতেই হবে বাবর আজমদের।