বাংলাদেশ: ১২৭/৮
পাকিস্তান: ১২৮/৫
পারল না বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষদিনে হঠাৎ করেই নাটকীয়ভাবে সেমিতে ওঠার সুযোগ চলে এসেছিল বাংলাদেশের কাছে। তবে পাকিস্তানকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়ে সেমিতে পৌঁছনো হল না বাংলা টাইগারদের। ভারতের সঙ্গে গ্রুপে দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে পা রাখল পাকিস্তান। বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারাল বাবর আজম বাহিনী।
দিনের শুরুটা হয়েছিল রোমাঞ্চকর ভাবে। ডাচদের কাছে টুর্নামেন্টের সেরা অঘটনে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে ছিটকে যাওয়ার সঙ্গেই জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেই ভারতের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত হয়ে যায়। পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ হয়ে যায় সরাসরি নকআউট। যে দল জিতবে সেই দলই সেমিতে পা রাখবে- এমন অঙ্ক স্পষ্ট হয়ে যায়।
সেই নকআউট ম্যাচ জিতেই গ্রুপে দ্বিতীয় দল হিসেবে পাকিস্তান পা রাখছে সেমিতে। প্ৰথমে বোলিং করে বাংলাদেশকে এডিলেডের পিচে ১২৭/৮ রানে আটকে রাখার পর পাকিস্তান সেই রান চেজ করল ১১ বল বাকি থাকতে, হাতে ৫ উইকেট নিয়ে।
আরও পড়ুন: হল্যান্ডের কাছে অঘটনের হার দক্ষিণ আফ্রিকার! ভারত-পাকিস্তান দু-দলের কাছেই চরম সুসংবাদ
মরণ বাঁচন ম্যাচে পাকিস্তানকে জিতিয়ে দিল তাঁদের বিশ্বখ্যাত বোলিং। আগের ম্যাচের হিরো শাদাব খান বাংলাদেশ ম্যাচেও ফারাক গড়ে দিলেন বল হাতে। সৌম্য সরকার এবং সাকিব খানের উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে শাদাব ধস নামানোর পর লোয়ার অর্ডারে ভাঙচুর চালায় শাহিন আফ্রিদির পেস। মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নুরুল হাসানরা শাহিনের পেসে হাবুডুবু খেয়েছেন। তার আগে ভারতকে কাঁপুনি ধরিয়ে দেওয়া লিটন দাসকেও সাততাড়াতাড়ি ফিরিয়ে বাংলাদেশ ইনিংসকে বেশি বাড়তে দেননি। সবমিলিয়ে নিজের ৪ ওভারের কোটায় মাত্র ২২ রান খরচ করে তুলে নেন ৪ উইকেট।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। এডিলেডের পেস, বাউন্স ভরা পিচে সেই সিদ্ধান্তই বুমেরাং হয়ে ফিরে এল। লিটন দাস তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যাওয়ার পরে সৌম্য সরকারকে নিয়ে জোরালো পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিলেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনে ৫২ রানের পার্টনারশিপে দলকে এগিয়ে দিচ্ছিলেন। তবে ১১ তম ওভারে জোড়া আউট করে শাদাব খান বাংলাদেশ ইনিংসকে বেপথু করে দেন। শাদাবের ওভারে পরপর দু-বলে আউট হয়ে যান ক্রিজে টিকে যাওয়া সৌম্য সরকার (১৭ বলে ২০) এবং শাকিব এল হাসান। এর পরে ৪৮ বলে ৭৪ করে আউট হয়ে যান শান্তও। তারপরে নিয়মিত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ কোনওরকমে স্কোরবোর্ডে ১২৭ তোলে। শেষদিকে আফিফ হোসেন ২০ বলে ২৪ না করলে আরও লজ্জার স্কোরে ইনিংস শেষ করতে হত টাইগারদের।
আরও পড়ুন: জিম্বাবোয়ের কাছে হারলেও সেমিতে পৌঁছবে ভারত! কোন পথে, কোন অঙ্কে, হিসেব মিলিয়ে নিন সরাসরি
অল্প রানের টার্গেট চেজ করতে নেমে পাকিস্তান দেখে শুনে ইনিংসের সূচনা করে। বাবর আজম (৩৩ বলে ২৫), মহম্মদ রিজওয়ান (৩২ বলে ৩২) ওপেনিং পার্টনারশিপে ৫৭ তুলতেই লাগিয়ে দেন প্রায় ১১ ওভার। পরপর দু-ওভারে দুই ওপেনার আউট হয়ে যাওয়ার পরে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। তবে মহম্মদ হ্যারিস (১৮ বলে ৩১) এবং শন মাসুদের ব্যাট (১৪ বলে ২৪) কোনও অঘটন ঘটানোর সুযোগই দেয়নি।