ভারত: ১৮৬/৫
জিম্বাবোয়ে: ১১৫/১০
দিনের প্ৰথম দুই ম্যাচেই গ্রুপের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান যে সেমিতে যাচ্ছে তা বাংলাদেশ হারার সঙ্গেই নিশ্চিত হয়ে যায়। ভারত-জিম্বাবোয়ে নিয়মরক্ষার ম্যাচ কেবল ছিল গ্রুপ শীর্ষ নির্ধারণ করার। ছেলেখেলা করে জিম্বাবোয়েকে ৭১ রানে হারিয়ে ভারতই গ্রুপ-২'র চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ চারে পা রাখছে।
প্ৰথমে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল ভারত। দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের আগে কার্যত নেট প্র্যাকটিস সেরে নেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে পূর্ণ শক্তির দল নামিয়েছিল ভারত। টানা খারাপ খেলায় দীনেশ কার্তিককে বাদ দিয়ে ভারত অবশেষে বিশ্বকাপে নামায় ঋষভ পন্থকে।
আরও পড়ুন: টিভি শোয়েই নাকি পরকীয়ায় মজে শোয়েব! স্ত্রী সানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পথেই হয়ত সুপারস্টার
কেএল রাহুল বাংলাদেশ ম্যাচেই হাফসেঞ্চুরি করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সেই ফর্ম ধরে রেখেই জিম্বাবোয়ে ম্যাচেই সাবলীল ফিফটি করে গেলেন রাহুল। রোহিত ১৫ রান করে আউট হয়ে গেলেও কোহলির সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৬০ রান যোগ করে ভারতের বড় স্কোর গড়া নিশ্চিত করে দেন রাহুল। বিরাট কোহলি (২৫ বলে ২৬), কেএল রাহুল (৩৫ বলে ৫১) অল্প রানের ব্যবধানে ফেরার পরে শুরু হয় সূর্যের তাণ্ডব।
রায়ান বার্ল, গরাভা, মুজরাবানিদের দুরমুশ করে মেলবোর্ন কাঁপিয়ে দেন সূর্যকুমার। মাত্র ২৫ বলে ৬১ করে যান ২৪৪ স্ট্রাইক রেট সমেত। হাফডজন বাউন্ডারির সঙ্গেই তাঁর ব্যাট থেকে বেরোয় চার-চারটে বিশাল ছক্কাও। শেষদিকে হার্দিক পান্ডিয়াও ১৮ বলে ১৮ করে দলকে ১৮৬/৫-এর পাহাড়ে চড়িয়ে দেন।
বিশাল রানের চ্যালেঞ্জ সামলে জিম্বাবোয়ে কতটা লড়াই দিতে সক্ষম হয়, সেটাই ছিল দেখার। তবে পুরো ২০ ওভার খেলার আগে মাত্র ১৭.২ ওভারে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবোয়ে। সিকান্দার রাজা (২৪ বলে ৩৪), রায়ান বার্ল (২২ বলে ৩৫) কিছুটা ব্যাট হাতে রান পান। বাকিরা নূন্যতম প্রতিরোধও গড়ে তুলতে পারেননি। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ২৮/৩ হয়ে যায় জিম্বাবোয়ে। সেখান থেকে ৩৬/৫ হয়ে গিয়েছিল আফ্রিকান দেশটি একসময়। তবে সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ৬০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলের একশো রানে পৌঁছনো নিশ্চিত করেন। অশ্বিন রায়ান বার্লকে ফেরানোর পরেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে জিম্বাবোয়ে। ১৯ রানের মধ্যে বাকি পাঁচ উইকেট হারায় জিম্বাবোয়ে।
আরও পড়ুন: ভারতকে হারালেই জিম্বাবোয়ানদের বিয়ের লোভ! পাকিস্তানকে সেমিতে তুলতে এবার ‘মাঠে’ পাক অভিনেত্রী
এমসিজিতে অশ্বিন ৪ ওভারের কোটায় ২২ রান খরচ করে তুলে নেন ৩ উইকেট। দুটো করে উইকেট নেন মহম্মদ শামি, হার্দিক পান্ডিয়াও।