হাঁফিয়ে পড়লেন। ঝুঁকে রইলেন কিছুক্ষণ। তারপরেও যেন স্বস্তি পেলেন না। আগুয়ান কেএল রাহুলের সঙ্গে কথা বলার সময়েও বুকে হাত দিয়ে রীতিমত অস্বস্তি বোঝাতে লাগলেন।
মেলবোর্নে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে গিয়েই গোটা ক্রিকেট বিশ্বকে এক লহমায় টেনশনের স্রোতে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন কিং কোহলি। পরে অবশ্য আউট হওয়ার আগে পর্যন্ত সাবলীল ব্যাটিং করলেন তারকা।
আরও পড়ুন: টিভি শোয়েই নাকি পরকীয়ায় মজে শোয়েব! স্ত্রী সানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পথেই হয়ত সুপারস্টার
বিশ্বের অন্যতম ফিট ক্রিকেটার কোহলি। মধ্য তিরিশে পৌঁছেও রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে দুনিয়ার ক্ষিপ্রতমদের মধ্যে অন্যতম। তবুও অস্ট্রেলিয়ার বিশাল সাইজের মাঠ তাঁর সামনে ফিটনেসের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল রবিবার। মেলবোর্ন, সিডনিতে বাউন্ডারি হাঁকানো মোটেই সহজ নয়। পিচে দৌড়ে রানের ওপরই অধিকাংশ সময় ভরসা করতে হয় ব্যাটসম্যানদের। আর ক্রমাগত এই দৌড়ের সময়েই বিপত্তি।
ভারতীয় ইনিংসের সপ্তম ওভারের ঘটনা। সেই ওভারের প্ৰথম বলেই কোহলি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সূচনা করেন। স্কোয়ার গ্রাউন্ডে বল হাঁকিয়ে একদম শেষ মুহূর্তে ফিল্ডারকে পরাস্ত করে বল বাউন্ডারি লাইন পেরিয়ে যায়। বাউন্ডারি নিশ্চিত না হওয়ায় কোহলিরা আগেই তিন রান দৌড়ে সম্পন্ন করে ফেলেছিলেন। পরে যদিও বাউন্ডারি পেরোয় বল। দ্বিতীয় বলেও কোহলি-রাহুল দৌড়ে নেন তিন রান। এরপরেই বিপত্তি। টানা রান নেওয়ায় ধকল ক্ষণিকের জন্য সহ্য করতে পারেননি কোহলি। মাঠেই হাঁটুতে ভর দিয়ে হাঁফাতে দেখা যায় তাঁকে। নিঃশ্বাস নিতেও রীতিমত কষ্ট করতে হচ্ছিল তারকাকে। রাহুলের সঙ্গে কথা বলার সময়েও বুকে ছিল হাত।
সবমিলিয়ে প্রবল টেনশন হাজির করে দেন কোহলি। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় সুনীল গাভাসকারও বলে দেন, "রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে বরাবর ও দ্রুততম। সবসময়ে অতিরিক্ত রান নেওয়ার খোঁজে থাকে। ও শট হাঁকানোর সঙ্গেই বুঝে গিয়েছিল ফিল্ডার ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে। নিজের শটের পাওয়ার নিয়েও নিশ্চিত ছিল। দ্বিতীয় রান নেওয়া বরাবর কষ্টসাধ্য। ও স্রেফ একটু জিরিয়ে নিচ্ছিল।"
আরও পড়ুন: ভারতকে হারালেই জিম্বাবোয়ানদের বিয়ের লোভ! পাকিস্তানকে সেমিতে তুলতে এবার ‘মাঠে’ পাক অভিনেত্রী
যাইহোক, ম্যাচে অঘটনের কোনও সুযোগই দেয়নি ভারত। ৭১ রানে জিম্বাবোয়েকে দুরমুশ করে সেমিফাইনালে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ালিফাই করা রবিবারই নিশ্চিত করেছে ভারত। সূর্যকুমার যাদব ২৫ বলে ৬১ রানের বিষ্ফোরক ইনিংস খেলে ভারতকে ১৮৬ রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন। জবাবে জিম্বাবোয়ে মাত্র ১১৫ রানে অলআউট হয়ে যায়।