ইংল্যান্ডের কাছে সেমিতে হারের পর শোয়েব আখতার শামিকে ঝাঁঝালো সমালোচনায় বিদ্ধ করেছিলেন। তারই পাল্টা দিয়েছিলেন মহম্মদ শামি। পাকিস্তান ফাইনালে হারতেই শামি শোয়েব আখতারের ভাঙা হৃদয়ের ইমোজিতে রিপ্লাই করেন, "স্যরি ভাই। এটাই কর্মফল।"
সঙ্গেসঙ্গেই হর্ষ ভোগলের পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দেওয়া টুইট রিটুইট করে শামিকে পাক স্পিডস্টার লেখেন, "এটাই বিচক্ষণতার টুইট।"
শোয়েব-শামির বাগযুদ্ধের মধ্যেই এবার ভারতীয় তারকাকে আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়লেন শাহিদ আফ্রিদি, ওয়াকার ইউনিস থেকে ওয়াসিম আক্রমও। কারোর নাম উল্লেখ না করেও ওয়াসিম, শোয়েব মালিক, ওয়াকার ইউনিসরা বিঁধলেন শামিকে।
আরও পড়ুন: একেই বলে কর্মফল! ফাইনালে পাকিস্তান হারতেই শোয়েবকে ধুয়েমুছে সাফ করলেন মহম্মদ শামি
পাকিস্তানের এ স্পোর্টস-কে ওয়াসিম আক্রম বলে দেন, "প্রাক্তন এবং বর্তমান কিছু ক্রিকেটার এখানে হাজির রয়েছেন। আমাদের কাজই হল দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতি এবং সৌহার্দ্য বজায় রাখা। যে বিবৃতি অথবা টুইট আমরা একে অন্যের উদ্দেশ্যে করে থাকি, তা সবসময় পজিটিভ হওয়া উচিত। কাটা ঘায়ে নুনের ছিঁটে দেওয়া উচিত নয়।"
"আমাদের কর্তব্যই হল মানুষের মধ্যে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়া। আমাদের নিরপেক্ষ থাকা উচিত। এই শোয়ের শুরুর দিকে বলেছিলাম, ভারতীয়রা দেশপ্রেমী। এতে আমার কোনও সমস্যা নেই। আমরাও আমাদের দেশকে ভালবাসি। এখানেই বিষয়টি খতম হোক না! জ্বলন্ত কোনও জিনিসের ওপর তেল ঢালা, পাল্টা টুইট করা- এসব প্লিজ কোরো না।"
ওয়াকার ইউনিস সেই শোয়ে বলেন, "গত বছর একটা ভুল করেছিলাম। সেইজন্য সকলের সামনে ক্ষমাও চেয়ে নিই। সকলের হাতেই এখন একটা করে ফোন থাকে। যে যা খুশি লিখতে পারে। তবে আমরা সকলকে অনুরোধ করতেই পারি। ভারতের বর্তমান এবং প্রাক্তন ক্রিকেটারদেরও সচেতন থাকা উচিত। তোমরা একে অন্যের বিরুদ্ধে খেললেও বন্ধুস্থানীয়। কথার যুদ্ধ এভাবে চালিয়ে গেলে তা মোটেই ভালো হবে না।"
আরও পড়ুন: রোহিত-রাহুলের ওপর বারবার চটে লাল হার্দিক! বিষ্ফোরক রিপোর্টে ভারতীয় দলের কোন্দল প্রকাশ্যে
মিসবাহ উল হক এই প্রসঙ্গে জানান, "সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইক পাওয়ার জন্যই যদি কেউ এসব করে, তাহলে এসব ক্ষেত্রে বিরত থাকতে হবে। ভারত হোক, বা পাকিস্তান হোক বা অন্য কোনও দেশের ক্রিকেটার হোক- সকলেই একটা পরিবারের মত। অন্যের জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকা জরুরি। বিনয়ের সঙ্গে নিজেদের মতামত জাহির করতে হবে। স্রেফ বিখ্যাত হওয়ার জন্য বিতর্কিত বিবৃতি দেওয়া উচিত নয়। আমাদের সকলের কর্তব্য রয়েছে।"
ঘটনার সূত্রপাত শোয়েব আখতারের নিজের ইউটিউব থেকে করা এক ভিডিও। যেখানে ভারতের হারের জন্য সরাসরি তিনি মহম্মদ শামিকে দায়ী করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ১০.৭৫ কোটির তারকা অলরাউন্ডার KKR-এ! দেশের সেরা তারকাকে নিয়ে বাজার মাতাল নাইটরা
শামিকে নিশান করে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলে দেন, "হঠাৎ করেই শামিকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে নিয়ে নেওয়া হল। ও নিঃসন্দেহে ভালো বোলার। তবে ভারতীয় স্কোয়াডে থাকার যোগ্য নয় ও। ভারতের প্ৰথম একাদশও স্পষ্ট নয়। স্পিন বোলিংয়েও ভারতীয় বোলারদের গভীরতা নেই। চাহালকে নিলে হয়ত ভালো খেলত। আদিল রশিদ যদি খেলতে পারে, চাহাল কেন নয়?”
শোয়েবের এমন বিবৃতি মোটেই ভালোভাবে নেননি শামি। পাকিস্তান হারতেই মোক্ষম সুযোগে পাল্টা দেন ভারতীয় স্পিডস্টার। তবে শোয়েবের জন্য পাকিস্তানের একের পর এক প্রাক্তন যে শামিকে টার্গেট করবেন, ভাবা যায়নি।