Pat Cummins hat-trick against Afghanistan: ইতিহাস গড়লেন প্যাট কামিন্স। একই টি-২০ বিশ্বকাপে তিনি দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক করলেন। রবিবার ২৩ জুন, কামিন্স, টি-২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক করেন। সেন্ট ভিনসেন্টে অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তানের মধ্যে সুপার ৮-এর ম্যাচ হয়েছে। সেখানেই কামিন্স ইতিহাস গড়েছেন। বল হাতে রীতিমতো ক্যারিশমা দেখিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। অজিদের এই অলরাউন্ডার খেলোয়াড় আফগানিস্তানের রশিদ খান, করিম জানাত এবং গুলবাদিন নায়েবের উইকেট নিয়েছেন পরপর।
এর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সুপার ৮ পর্বের ম্যাচেও হ্যাটট্রিক করেছিলেন কামিন্স। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন, তিনি ১৮তম ওভারের শেষ বলে (১৭.৬) ফর্মে থাকা রশিদের উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের ইনিংসে বড় ধাক্কা দেন। তার পর ২০তম ওভারের প্রথম দুটি ডেলিভারিতে (১৯.১), (১৯.২) জনাত এবং নাইবকে আউট করেন। আর, তাতেই তৈরি হয় ইতিহাস। টি-২০ বিশ্বকাপে দুটি হ্যাটট্রিক নেওয়া প্রথম খেলোয়াড় হয়ে উঠলেন অজি অধিনায়ক। এই নিয়ে টি-২০ তে অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের ৫ম হ্যাটট্রিক হয়ে গেল। সব বিশ্বকাপ মিলিয়ে এটা তাঁর তৃতীয় হ্যাটট্রিক।
এর আগে টি-২০ তে দুটি হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব ছিল তিন বোলারের। তাঁরা হলেন-
লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)
টিম সাউদি (নিউজিল্যান্ড)
ওয়াসিম আব্বাস (মালটা)
প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া)
কামিন্স প্রথমে তাঁর হ্যাটট্রিক সম্পর্কে জানতেন না। পরে বলেন, 'পরপর দুটো হ্যাটট্রিক একটা বিরাট ব্যাপার। এবারেরটা আমার মাথায় ছিল না। এই নিয়ে আমার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১০০টা ম্যাচ খেলা হয়ে গেল। ওরা ভালো ব্যাটিং করছিল। ওরা যাতে বেশি বাউন্ডারি না পায়, সেটা আটকানোই ছিল আমাদের লক্ষ্য। তার মধ্যেই ওরা বেশ ভালো রান করেছে। আমাদের বোলিংও খারাপ হয়নি। কিন্তু, মোটের ওপর আমরা খুশি।'
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপে খেলতে গিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না গোরুর মাংস! ক্যারিবিয়ানে তীব্র সমস্যায় আফগানিস্তান টিম
আফগানিস্তান ম্যাচে আরও একটা বড় সাফল্য কামিন্সের একটুর জন্য হাতছাড়া হয়েছে। ডেভিড ওয়ার্নার ক্যাচ মিস না করলে তিনি আরও একটি নজির গড়ে ফেলতে পারতেন। ১৯.৩ ওভারে কামিন্সের বলে ক্যাচ ফসকান ওয়ার্নার। তিনি ক্যাচটা ধরলে, কামিন্স চার বলে চার উইকেট তুলে আফগান ম্যাচেই আরেকটা নজির গড়ে ফেলতেন। ম্যাচে আফগানিস্তান দল ৬ উইকেটে তুলেছে ১৪৮ রান। ২১ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। এই ম্যাচ হারায় অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনালে পৌঁছনো একটু কঠিন হয়ে গেল।