ICC, Team India, IND vs BAN: ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ। তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ থাকবে না। তা কখনও হয়? ২৪ ঘন্টাও পেরোয়নি ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে এর মধ্যেই নতুন 'অজুহাত' বের করে ফেলল বাংলাদেশি মিডিয়া।
বলা হচ্ছে, ভারত আন্টিগার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছিল আইসিসির তরফে বাড়তি সুবিধা নিয়ে। বাংলাদেশের একাধিক প্রচার মাধ্যম বিডি ক্রিকেট টাইমস, ঢাকা পোস্ট সহ একাধিক প্রচারমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে বিষয়টি।
বলা হচ্ছে, নিয়ম ভেঙে ম্যাচের উইকেটে অগ্রিম অনুশীলন করার সুবিধা পেয়েছিলেন কোহলি-রোহিতরা। সাধারণত, আইসিসি ইভেন্টে যে ভেন্যুতে ম্যাচ খেলা হবে, সেই উইকেট তো বটেই আশেপাশের পিচেও কোনওভাবেই অনুশীলনের সুযোগ থাকে না। ভারতকে নাকি এবার আন্টিগার সেন্ট্রাল পিচে অনুশীলনের সুযোগ দিয়ে আরও ভালোভাবে বাংলাদেশের জন্য প্রস্তুতিতে সহায়তা করেছে আইসিসি।
বিডি ক্রিকেট টাইম-এ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনের হেডিং, "নিয়ম ভেঙে সেন্ট্রাল উইকেটে ভারতের অনুশীলন"। ঢাকা পোস্টের শিরোনাম, "সেন্ট্রাল উইকেটে ভারতের অনুশীলন কি আসলেই অবৈধ?" এমনকি ওপার বাংলার জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল যমুনা টিভিতেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত ভিডিও-প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
অনুশীলনে বাড়তি সুবিধা ভারত সত্যি পেয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি সরকারিভাবে। তবে ভারতীয় ব্যাটিং শক্তি কার্যত বাংলাদেশকে নকআউট পাঞ্চ দিয়ে দিয়েছে ম্যাচের প্রথমার্ধেই। রোহিত-কোহলি উড়ন্ত সূচনা উপহার দিয়েছিলেন। তারপর ঋষভ পন্থ, শিভম দুবে যে-ই ক্রিজে এসেছেন ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন। ভারতের গোটা ইনিংসে বাউন্ডারির সংখ্যা যেখানে মাত্র ১২টি, মাঠের বাইরে বল উড়ে গিয়েছে ১৩বার। ছক্কা হাঁকানোয় বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ম্যাচেই রেকর্ড করেছেন হার্দিক-দুবেরা। হার্দিক পান্ডিয়ার ডেথ ওভারে পেশি-শক্তির ব্যাটিং আস্ফালন ভারতকে ১৯৬ রানে পৌঁছে দেয়।
কোহলি-দুবেদের ছক্কার ঝড়ে বেসামাল অবস্থা হয়েছিল মুস্তাফিজুর রহমান (৪-০-৪৮-০), সাকিব আল হাসান (৩-০-৩৭-১), রিশাদ হোসেনদের (৩-০-৪৩-২)। তানজিম সাকিব ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারের কোটায় খরচ করেন ৩২ রান।
এই ব্যাটিং বিক্রম কি একদিনের অনুশীলনের ওপর নির্ভর করে?