Najmul Hossain Shanto rues: টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হারার পর সোজাসুজি অযোগ্য অধিনায়কের মত সতীর্থদের ওপর দোষ চাপিয়ে দিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সুপার ৮-এর শনিবারের ম্যাচে ভারতের কাছে ৫০ রানের লজ্জাজনক হার স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশ। শান্তর দাবি, ম্যাচ জেতার কোনও ইচ্ছাই ছিল না বাংলাদেশের ব্যাটারদের। শান্ত যাই বলুন না কেন, ভারত এই নিয়ে সুপার ৮ পর্যায়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল। আর, তার সুবাদে কার্যত সেমিফাইনালে চলে গেল।
আর, তারই প্রেক্ষিতে হতাশ শান্তর অভিযোগ, ভারতের ১৯৭ রান তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা তেমন কোনও উৎসাহই দেখাননি। এই ম্যাচে ভারতের তরফে সহ-অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ২৭ বলে ৫০ রান করেছেন। আর, তারই সাহায্যে নর্থ সাউন্ড, অ্যান্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ভারত ৫ উইকেটে তুলেছে ১৯৬ রান। জবাবে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ১৪৬ রানেই থেমে যায়।
শনিবারের ম্যাচে বল হাতেও হার্দিক সফল। তিনি লিটন দাসকে ফিরিয়ে দেন। বাঁ-হাতি স্পিনার কুলদীপ যাদব ওপেনার তানজিদ হাসান (২৯) এবং তৌহিদ হৃদয় (৪)-কে এলবিডব্লিউ করেন। পাশাপাশি কুলদীপ সাকিবের উইকেটও নিয়েছেন। সব মিলিয়ে ভারতীয় স্পিনার ১৯ রানে নিয়েছেন তিন উইকেট। বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত অবশ্য তাঁরই মধ্যে ৪০ রান করেছেন। কিন্তু, জসপ্রিত বুমরাহর বলে তাঁকে ফিরতে হয়।
ম্যাচ শেষে শান্ত বলেন, 'আমরা ১৬০-১৭০ এর মধ্যে ভারতকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলাম। সেটা হলে আমাদের জন্য ভাল হত। কিন্তু, ওরা যেভাবে ব্যাটিং করেছে, আটকানো যায়নি। আবহাওয়া কোনও সমস্যা করেনি। কারণ, খেলোয়াড়রা এই ধরনের আবহাওয়ার সঙ্গে অভ্যস্ত। তাছাড়া, আমার মনে হয় যে আমাদের কাছে ভালো ব্যাটাররা ছিলেন। কিন্তু, আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারিনি।'
আরও পড়ুন- বাংলাদেশের পর এবার আফগানিস্তান! কামিন্সের জোড়া হ্যাটট্রিকে ধ্বংস সব রেকর্ড, ইতিহাসে অজি সুপারস্টার
শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ হাসান আর লিটন দাস ভালোভাবেই ভারতীয় পেসারদের সামলাচ্ছিলেন। তাঁরা বাউন্ডারিও মারছিলেন। কিন্তু, তারই মধ্যে লিটন আচমকা আউট হয়ে যান। আর, তানজিদ ২৯ রানে আউট হয়ে যান। যার ফলে, বাংলাদেশ বেশ চাপের মধ্যে পড়ে যায়।
এরপর শান্ত দলের হাল ধরেন। কিন্তু, অপর প্রান্ত থেকে যথেষ্ট সাহায্য পাননি। তৌহিদ হৃদয় ও সাকিব অল হাসান ভালো কিছু করতে পারেননি। তার মধ্যেই শান্ত চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। তিনি ৪০ রান করেছেন। কিন্তু, এসব করলেও এই ম্যাচে শান্তর অধিনায়কত্বও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা উলটো কথা বলার পরও তিনি কেন প্রথমে ফিল্ডিং নিলেন? সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।
তার মধ্যেই রিশাদ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ নিজের মত করে কিছু চেষ্টা করেছিলেন। তারপরও ভারতীয় বোলারদের জন্য বাংলাদেশের ইনিংস চাপের মধ্যে পড়ে যায় এবং ইনিংস দ্রুত শেষ হয়। ব্যাটিং নিয়ে শান্তর অবশ্য খেদোক্তি যাচ্ছে না। তিনি বলেছেন, 'আমি প্রত্যেক ম্যাচেই অবদান রাখার চেষ্টা । এই ম্যাচ-ও আমার ফিনিশ করে আসা উচিত ছিল। এই টুর্নামেন্টে তানজিন সাকিব দুর্দান্ত খেলছেন। রিশাদও ভালো খেলেছেন। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই ভালো লেগস্পিনার খুঁজছিলাম। ওঁকে পেয়ে আমাদের সেই সমস্যা মিটল।'