Shakib Al Hasan in 2026 t20 World Cup: তাঁর অবসর নিয়ে জল্পনা চলছিল। এবারের টি-২০ বিশ্বকাপই তাঁর শেষ টুর্নামেন্ট কি না, তা নিয়েও চলছিল নানা কথা। সেই সব জল্পনায় ইতি ঢেলে বাংলাদেশের তারকা সাকিব-আল-হাসান জানিয়ে দিলেন, তিনি ২০২৬ বিশ্বকাপেও খেলবেন।
৮ জুন ডালাসে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-২০ বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর আগে শনিবার তাদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। যে খেলোয়াড়রা এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে খেলবেন, তাঁদের মধ্যে সাকিব অন্যতম। এখন পর্যন্ত যে কয়টি টি-২০ বিশ্বকাপ রয়েছে, তার সবকটিতেই সাকিব খেলেছেন।
সাকিবের মত এই কৃতিত্ব আছে ভারতের রোহিত শর্মারও। তিনিও টি-২০ বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরে খেলেছেন। সাকিবের মত রোহিতেরও অবসর নিয়ে জল্পনা বর্তমানে তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে সাকিব স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে তিনি আপাতত অবসর নিচ্ছেন না। বরং, জুন থেকে শুরু হতে চলা টি-২০ বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্স করার আশা করছেন। সাকিব একথা বলতেই পারেন। কারণ, টি-২০ বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত ৩৬টি ম্যাচে তিনি ৪৭টি উইকেট নিয়েছেন। যা শীর্ষস্থানীয় উইকেটশিকারী বোলারদের মধ্যে তাঁকে স্থান দিয়েছে।
তবে, সাকিবের অবসরের জল্পনার জন্ম কিন্তু, তিনি নিজেই দিয়েছেন। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরে সব ফরম্যাট থেকে তিনি অবসর ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন। এবার সেই জল্পনাতে তিনিই জল ঢাললেন। শুক্রবার বিসিবির (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) ফেসবুক পেজে আপলোড করা একটি ভিডিওতে সাকিবকে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
সেখানে তিনি বলেছেন, 'আমি যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম, তখন আমি আশা করিনি যে এতদিন খেলব। আর, টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকে এবার পর্যন্ত, আমি আর রোহিত শর্মা প্রতিটিতে অংশ নিয়েছি। এটা একটা বড় ব্যাপার। এজন্য আমি গর্বিত। আমি খুশি যে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি।'
এরপরই সাকিব বলেছেন, 'আমি আশা করি, আরও একটা টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে পারব। তার আগে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্স করতে চাই। লক্ষ্য থাকবে, আগের টি-২০ বিশ্বকাপের থেকেও ভালো পারফর্ম করা।' সাকিবের ধারণা, এবারের বিশ্বকাপে তাঁদের সুবিধা হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইকেট বা পিচ। এই বিশ্বকাপে অন্যতম আয়োজক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানকার পিচ অনেকটা বাংলাদেশের মত বলে এই অলরাউন্ডার জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- বিশাল চেহারা নিয়ে বারবার ব্যর্থ, বিশ্বকাপের আগে মঈন খানের ছেলেকে নিয়ে তোলপাড় পাকিস্তান ক্রিকেট
বাংলাদেশের এই আন্তর্জাতিক অলরাউন্ডার বলেছেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমার দ্বিতীয় বাড়ি। অতীতে আমরা যখন আমেরিকা বা ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলেছি, ভালো ফল করেছি। ফ্লোরিডাতে খেলার সময়ও ভালো করেছি। ওই পিচগুলো অনেকটা বাংলাদেশের মতই। তাই আমার ধারণা যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আমেরিকা, দুই জায়গাতেই আমরা বিশেষ সুবিধা পাব।'