Taskin Ahmed overslept in hotel: গ্রুপ পর্বে ভালো ফলাফল করলেও সুপার-৮'এ মুখ থুবড়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তানের কাছে হেরে লজ্জার বিদায় নিতে হয়েছিল টাইগারদের। শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯ বলে ৪৩ করলেই সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে তার ফায়দা নিতে পারেননি নাগিন তারকারা।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বিপর্যয়ের পরেই এবার বড় আপডেট শোনা গেল টাইগার শিবির থেকে। ভারত ম্যাচে ঘুম থেকে নির্দিষ্ট সময়ে উঠতে না পারার কারণেই নাকি ম্যাচে নামা হয়নি তারকা পেসার তাসকিন আহমেদের।
আন্টিগার ভিভ রিচার্ডস ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে দল সাজিয়েছিল একজন অতিরিক্ত ব্যাটার খেলিয়ে। মাত্র দুই পেসার নিয়ে ভারত ম্যাচে মোকাবিলা করতে নেমেছিলেন টাইগাররা। মুস্তাফিজুর এবং তানজিম হাসানকে খেলানো হয়েছিল। ভারত ব্যাট করার সময় পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ আক্রমণ শুরু করে দুই প্রান্তে দুই স্পিনার এনে- মেহেদি হাসান এবং সাকিব আল হাসানকে দিয়ে।
এমন অদ্ভুত দল কম্বিনেশন এবং বোলিং সাজানো দেখে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে টাইগাররা। তবে বিশ্বকাপ শেষ হতেই আসল রহস্য এবার ফাঁস হয়ে গেল। তাসকিন আহমেদ নাকি ভারত ম্যাচের দিন হোটেলে রুমে সকালে ঘুম থেকে নির্দিষ্ট সময়ে উঠতে পারেননি।
তাঁকে রেখেই মাঠের দিকে রওনা দিয়েছিল টিম বাস। টিম বাসে হঠাৎ করেই বাংলাদেশি টিম ম্যানেজার আবিষ্কার করেন তাসকিন নেই। সঙ্গেসঙ্গেই তাঁর রুমে ফোন করা হয়। তবে তিনি জবাব দেননি।
হোটেল থেকে ভেন্যুতে যাওয়ার জন্য আইসিসির টিম বাস যেখানে নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়ে, তাই বাংলাদেশ চাইলেও অপেক্ষা করতে পারেননি দলের প্রিমিয়াম পেসারের জন্য। তাঁকে ছাড়াই রওনা দেয় মাঠে। টিম ম্যানেজমেন্টের একজনকে হোটেলে রেখে দেওয়া হয় তাসকিনকে নিয়ে আসার জন্য। সেই ম্যাচে আর নামাই হয়নি তাসকিনের।
বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের এক কর্তা ক্রিকবাজ-কে বলেছেন, "তাসকিন ভারত ম্যাচে পরে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেন। তবে কেন তাঁকে মাঠে নামানো হল না, সেটার জবাব একমাত্র কোচ চন্ডিকা হাতুরুসিংহেই দিতে পারবেন। যদি সত্যিই কোনও সমস্যা থাকত, তাহলে আফগানিস্তান ম্যাচে কি করে ওঁকে নামানো হল? দলের সকলের কাছে তাসকিন সেদিন ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিল ঘুম থেকে সময়মত উঠতে না পারার জন্য। এর জন্য কোনও ইস্যু তৈরি করা উচিত নয়।"
তাসকিন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য ব্যাটারদের দুষছেন। বলে দিয়েছেন, "ব্যাটিংয়ের কথা ধরা হলে, পরিসংখ্যান যদি দেখা যায়, তাহলে প্রত্যেক দলই ইউএসএ পর্বে সমস্যায় পড়েছে। বোলাররা প্রচুর সাহায্য পেয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচে আমাদের ব্যাটিংয়ে উন্নতি হয়েছিল। আমার দশ বছর কেরিয়ারে বাংলাদেশের এত দীর্ঘসময় ব্যাটিং-দুর্বল দল দেখিনি। আশা করি দ্রুত এই সমস্যা মিটে যাবে। টি২০-তে কখনই আমাদের পরিসংখ্যান ভালো ছিল না। আমরা ধীরে ধীরে উন্নতি করছি।"