T20 World Cup 2024 Major DRS controversy: দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে লো স্কোরিং থ্রিলারে হার মানতে হয়েছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তারপরেই টাইগার শিবিরের পক্ষ থেকে আম্পায়ারিংয়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনা হল।
বাংলাদেশের ইনিংসের শেষদিকে আম্পায়ারের ডেড বলের সিদ্ধ নিয়েই যাবতীয় ক্ষোভ বাংলাদেশ শিবিরে। অল্প রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ প্রায় ম্যাচ ফিনিশ করে এনেছিল। ক্রিজে ছিলেন টাইগারদের ফিনিশার মাহমুদুল্লাহ। ১৭তম ওভারে প্রোটিয়াজদের হয়ে আক্রমণে এসেছিলেন বার্টম্যান। সেই ওভারের দ্বিতীয় বলেই যাবতীয় ঘটনা। ফুল লেংথের বল আছড়ে পড়েছিল মাহমুদউল্লাহর প্যাডে। আবেদনের পর আম্পায়ার আউটের সিগন্যাল দিয়ে দেন। সঙ্গেসঙ্গেই রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিভিউযে দেখা যায় বলে মোটেও স্ট্যাম্পে ছিল না। আম্পায়ার তখন নিজের সিদ্ধান্ত বদলে নিলেও বাংলাদেশ ক্ষতি হয়ে যায় অন্যত্র।
ঘটনা হল, সেই বল মাহমুদুল্লাহর প্যাডে লেগে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারিতে পৌঁছে যায়। বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয় ম্যাচের পর কার্যত ফুঁসতে ফুঁসতে বলে দিয়েছেন, মাহমুদুল্লাহকে আউট না দিলে বাংলাদেশের খাতায় যোগ হত আরও চারটে রান। সেক্ষেত্রে টানটান ম্যাচে তাঁরা জিতে যেতেন।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, আম্পায়ার যে মুহূর্তে কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন, সঙ্গেসঙ্গেই সেই বল ডেড হয়ে যায়। অর্থাৎ বল বাউন্ডারিতে পৌঁছনোর আগেই আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দিয়ে দেওয়ায় বাউন্ডারি-বঞ্চিত হল টাইগার শিবির। ঘটনা হল, ঠিক চার রানের ব্যবধানেই হেরে গিয়েছে বাংলাদেশ। এটাই আরও ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে।
ম্যাচের পর বাংলাদেশের ব্যাটার তৌহিদ হৃদয় বলে দিয়েছেন, "ম্যাচের ওরকম টানটান পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত মোটেও আমাদের পক্ষে গেল না। আম্পায়ার আউট দিলে সেই ঘটনার মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলে গেল আমাদের। ওই চারটে রান ম্যাচের মোড়-ই ঘুরিয়ে দিতে পারত।"
ডিআরএস নিয়ম নিয়ে হৃদয় খুল্লামখুল্লা বলেছেন, "আইন আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ওই সময়ে চারটে রান সত্যিই দরকার ছিল। আম্পায়াররাও মানুষ তাঁদেরও ভুল হতে পারে। তবে আমাদের বেশ কয়েকটা ওয়াইড দেওয়া হয়নি। এরকম ভেন্যুতে যেখানে লো স্কোরিং ম্যাচ হয়ে চলেছে। এক রান-দুই রান অনেক তফাৎ করে দেয়। আমাদের ধারণা ওই দুটো ওয়াইড এবং এই চারটি রান ভীষণই ক্লোজ ছিল। আমাকেও আম্পায়ার্স কলে আউট দেওয়া হল। নিয়মে উন্নতির অবকাশ রয়েছে।"
ঘটনাচক্রে তৌহিদ হৃদয়কে আউট করেন কাগিসো রাবাদা। পরে রিভিউয়ে দেখা যায় বল স্ট্যাম্প স্রেফ স্পর্শ করেছিল। আম্পায়ার্স কল হওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত তাঁর বিপক্ষে যায়।