Phil Salt 30 runs Romario Shepherd: স্কোরবোর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৮০ তুলে দিয়েছিল। বড়সড় এই টার্গেটের ম্যাচ একপেশে করে দিল ইংল্যান্ড। কেকেআরে আলো ছড়িয়ে যাওয়া ফিল সল্ট ৪৭ বলে ৮৭ করে তান্ডব চালিয়ে গেলেন সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইলেটের স্টেডিয়াম।
ম্যাচে ইংল্যান্ড আধিপত্য নিয়ে রান চেজ করলেও শেষদিকে চ্যালেঞ্জ হাড্ডাহাড্ডি হয়ে যায়। ৩০ বলে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪০ রান। তবে সেই টার্গেট ছেলেখেলা করে আয়ত্তের মধ্যে নিয়ে আসেন ফিল সল্ট। ১৬তম ওভারে রোমারিও শেফার্ডের ছয় বলে সল্ট ৩০ তুলে দেন। এরপরে ইংল্যান্ড হাসতে হাসতে ১৫ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। জনি বেয়ারস্টো ৪৮ করে অপরাজিত থাকেন।
যেভাবে ফিল সল্ট ৬ বলে ৩০ তুললেন
১৫.১, বাউন্ডারি- ফুলার লেংথের বল সল্ট সোজা এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে হাঁকিয়ে দেন। এক বাউন্স খেয়ে বল সোজা বাউন্ডারির ওপাশে। নিজের অর্ধশতরান-ও পূর্ণ করে নেন সেই সঙ্গে।
১৫.২, ওভার বাউন্ডারি- রোমারিও শেফার্ড হাফভলি করেছিলেন। বোলারের মাথার ওপর দিয়ে সোজা মাঠের বাইরে বল পাঠিয়ে দেন তিনি।
১৫.৩, বাউন্ডারি: টানা দু-বল মার হজম করে শেফার্ড স্লোয়ার করেছিলেন। তাও আবার কাঁধের সমান উচ্চতায়। আগাম বলের পেস পরিবর্তন আঁচ করে ফেলেছিলেন। বলের জন্য অপেক্ষা করে স্লিপ কর্ডনের ওপর দিয়ে রাম্প করে বাউন্ডারি হাঁকান।
১৫.৪, ওভার বাউন্ডারি- বল থেকে পেস কমিয়ে নেওয়া বলের ওপরেই ফের ভরসা করেছিলেন শেফার্ড। যাতে করে বিগ হিট না হাঁকাতে পারেন সল্ট। অফস্ট্যাম্পের বাইরে বল থাকলেও তা ছিল সল্টের হিটিং জোনে। ফ্রন্টফুটে ভরসা করে ইংরেজ তারকা ব্যাটার সোজা ছক্কা হাঁকিয়ে দেন।
১৫.৫, ওভার বাউন্ডারি- আরও একটা তুলনামূলক কম গতিসম্পন্ন বল। তবে তাতেও শেফার্ড রক্ষা পেলেন না। লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে শর্ট বল ছিল। একদিকে সরে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের ওপর দিয়ে পুল করে ছক্কা হাঁকান ইংরেজ ব্যাটার।
১৫.৬, বাউন্ডারি- অফস্ট্যাম্পের বাইরে লো ফুলটস করেছিলেন রোমারিও শেফার্ড। তবে সল্ট কভারের ওপর দিয়ে বল সোজা বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দেন। এভাবেই এক ওভারে ৩০ রানের বিস্ফোরণ দেখা গেল সুপার-৮'এ।
এই আলোচিত ওভারের নয় বল পরেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। চলতি বিশ্বকাপে এটাই ক্যারিবিয়ানদের প্ৰথম হার। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একা ধ্বংস করলেন ফিল সল্ট। প্ৰথমে জস বাটলারের সঙ্গে ৬৭ রান এবং পরে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ম্যাচ জেতানো পার্টনারশিপে দলের জয় সহজ করলেন তারকা।
ম্যাচ সেরা হওয়ার পর ফিল সল্ট বলে দিয়েছেন, "খুব বেশি সামনের দিকে ভাবছি না। দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। ক্যারিবিয়ান আক্রমণে মাঝের ওভারে স্পিনের কারণে একটু কঠিন হয়ে পড়েছিল চ্যালেঞ্জ।"