Pakistan vs USA, T20 World Cup 2024: চলতি বিশ্বকাপের প্ৰথম অঘটনের সাক্ষী থেকেছে বৃহস্পতিবার রাত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অভাবনীয়ভাবে হার মানতে হয়েছে ২০০৯-এর বিশ্বজয়ীদের। তারপর উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। কাঠগড়ায় বাবর আজমদের স্ট্র্যাটেজি।
চলতি মাসের শুরুতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হারিয়েছিল প্রতিবেশী কানাডাকে। তারপর এবার মার্কিনীদের হাতে বধ হেভিওয়েট পাকিস্তানও। টানা দুই জয়ে আপাতত নিজেদের গ্রুপের শীর্ষে পৌঁছে গেল ইউএসএ।
বৃহস্পতিবার মোনাঙ্ক প্যাটেলের নেতৃত্বাধীন ইউএসএ ১৫৯ রানে আটকে দিয়েছিল পাকিস্তানকে। তারপর রান চেজ করে সেই স্কোর ছুঁয়ে ফেলে তাঁরা। মহম্মদ আমেরের সুপার ওভারের জঘন্য পারফরম্যান্স-এর সৌজন্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্কোরবোর্ডে ১৮ তুলে দিয়েছিল। এর পর বল হাতে সেই রান ডিফেন্ড করে দেন ইউএস পেসার সৌরভ নেত্রাভালকার।
টি২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে এই নিয়ে চতুর্থবার কোনও ম্যাচ টাই হল। চলতি সংস্করণেই নামিবিয়া বনাম ওমানের ম্যাচ টাই হয়েছিল। পাকিস্তান আবার এই নিয়ে দুবার টাই ম্যাচ খেলল টি২০ বিশ্বকাপে। ২০০৭-এ ভারতের বিরুদ্ধে একইভাবে টাই ম্যাচের সাক্ষী থেকেছিল পাকিস্তান। যা শেষমেশ নির্ধারিত হয়েছিল বোল আউটের মাধ্যমে।
আর পাকিস্তানের এই হারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মাইকেল ভন, ওয়াসিম জাফর, শোয়েব আখতার, মহম্মদ কাইফের মত প্রাক্তনীরা। শোয়েব সরাসরি বলে দিয়েছেন, "খুব হতাশার হার হজম করল পাকিস্তান। বিশ্বকাপের শুরুটা মোটেও ভাল হল না। ইউএসএ-র কাছে এই হারে ১৯৯৯-এ বাংলাদেশের বিপক্ষে পরাজয়ের ইতিহাস ঘটল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তান এই ম্যাচ জয়ের যোগ্যই ছিল না।"
"কারণ ইউএসএ সবসময় ভালো খেলেছে। ম্যাচে আগাগোড়া নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছে। আমের ম্যাচ সেভ করেছে। শাহিন, আমের সকলেই চেষ্টা করেছে। পুরো ম্যাচ দেখলে বোঝা যাবে ৩৭ ওভার পর্যন্ত আমরা পিছিয়ে ছিলাম। তারপর আমরা আর ম্যাচ বের করতে পারিনি।" নিজের স্টাইলে সরস ভঙ্গিতেই টুইট করেছেন ওয়াসিম জাফর। লিখেছেন, "ভেবেছিলাম পাকিস্তান বনাম ইউএসএ ম্যাচ হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হয়ে দাঁড়াল প্যানিকস্তান বনাম ইউএসএ-র মধ্যে।"
বিশ্বকাপে পিচ বিতর্কে জর্জরিত আইসিসি। তবে ইউএসএ বনাম পাকিস্তান ম্যাচ আইসিসির মুখরক্ষা করে গেল। এমন সুরেই বক্তব্য রেখেছেন মহম্মদ কাইফ এবং মাইকেল ভন। পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে আপাতত চারদিনের বিশ্রাম পাচ্ছে। রবিবার মেগা লড়াইয়ে নামবে দুই দল।