Danish Kaneria on Virat Kohli-Babar Azam: ভারতের বিরুদ্ধে হাইভোল্টেজ ম্যাচ হারতেই পাকিস্তান দলের বিরুদ্ধে সেদেশে ক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়ল। এমনকী পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও একহাত নিলেন অধিনায়ক বাবর আজম ও তাঁর দলকে। কিন্তু, সেসব ছাড়িয়ে এক প্রাক্তন তো মন্তব্য করেই বসেছেন, 'বাবর আজম বিরাট কোহলির জুতোরও যোগ্য নয়।' ভারত আর পাকিস্তানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতা কোনওকালেই ভৌগোলিক সীমানা মানে না। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার রেশ অন্যান্য খেলার চেয়েও ক্রিকেটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধরা পড়ে। এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর আমেরিকায়। তাতেও সেই রেশ কমার কোনও লক্ষ্য নেই।
ম্যাচের আগে শোয়েব আখতারের মত প্রাক্তন খেলোয়াড় পর্যন্ত দেশের নাম উচ্চারণ করে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের তাতানোর চেষ্টা করেছিলেন। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্ট স্টেডিয়ামেও বিরাট সংখ্যায় দর্শকরা ভিড় করেছিলেন রবিবার। সবটাই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতার রেশের জন্য। আর, এই রেশ দুই দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যেও এসে পড়েছে। বিরাট কোহলি যে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার, সেনিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাঁর সঙ্গে হামেশাই তুলনায় টানা হয় পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের। কে সেরা, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা হয়।
এবার সেনিয়ে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া। পাকিস্তান দলে হিন্দু খেলোয়াড় এমনিতে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দানিশ সেই সব বিরলদের একজন। হিন্দু খেলোয়াড় হওয়ায় দানিশ অতীতে অভিযোগ করেছিলেন যে পাকিস্তান দলে কার্যত তাঁকে একঘরে করে রাখা হত। তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হত। সেই দানিশই পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের সম্পর্কে চলতি টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। দানিশ বলেছেন, 'পরের দিন বাবর আজম সেঞ্চুরি করার সঙ্গে সঙ্গেই আপনি দেখতে পাবেন যে বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর তুলনা করা হচ্ছে। ও কিন্তু, বিরাট কোহলির জুতোরও যোগ্য নয়।'
এতেই না থেমে বাবর আজম সম্পর্কে কানেরিয়া বলেছেন, 'আমেরিকার বোলাররা আজমকে আটকে দিয়েছে। ও ওই বোলারদেরই খেলতে পারেনি। ৪০ করেই আউট হয়ে গেছে। অথচ, ওঁর সেই সময় ক্রিজে থাকা উচিত ছিল। ম্যাচটাকে জেতানো উচিত ছিল। আমেরিকার মত একটা নতুন দল। ওই ম্যাচ তো পাকিস্তানের হেসেখেলে জেতা উচিত ছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত কী হল?'
দানিশ যে ম্যাচের কথা বলছেন, সেটা এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ। সেই ম্যাচে রীতিমতো টক্কর দিয়ে আমেরিকা পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে। ম্যাচটা সুপার ওভারে পর্যন্ত গিয়েছিল। সেখানেও পাকিস্তান আমেরিকাকে টেক্কা দিতে পারেনি। পাকিস্তানের অভিজ্ঞ বোলার মহম্মদ আমির সুপার ওভারে ১৮ রান দিয়েছেন। যার মধ্যে ৭ রান ছিল অতিরিক্ত। ফলে, ওই ম্যাচে পাকিস্তানের হার নিশ্চিত হয়ে যায়।
সেই প্রসঙ্গ টেনেই কানেরিয়া বলেছেন, 'ভারত তো পাকিস্তানকে হারাবেই। ওরা আমেরিকাকে হারাতে পারে না! ভারতকে কীভাবে হারাবে? যখনই পাকিস্তান বিশ্বকাপে খেলতে আসে, নিজেদের বোলিং নিয়ে গালভরা প্রশংসা করে। বলে যে, ওরাই ম্যাচটা জিতবে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত দেখা যায় যে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচটা হেরে গেছে।'