New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/06/Siraj-rizwan.jpg)
Mohammed Siraj tried to hurt Mohammad Rizwan: হঠাৎই রিজওয়ানকে লক্ষ্য করে বল ছুঁড়ে দেন সিরাজ (টুইটার)
Mohammed Siraj and Mohammad Rizwan: সম্প্রীতির তাল কাটল সিরাজের কাণ্ডে। পাকিস্তান ইনিংসের সপ্তম ওভারের ঘটনা। সেই সময় সিরাজের বল শক্তপোক্ত ডিফেন্স করেছিলেন। সিরাজের কাছে সেই বল আসতেই তিনি আক্রমণাত্মকভাবে ছুঁড়ে দেন রিজওয়ানের উদ্দেশ্যে।
Mohammed Siraj tried to hurt Mohammad Rizwan: হঠাৎই রিজওয়ানকে লক্ষ্য করে বল ছুঁড়ে দেন সিরাজ (টুইটার)
Siraj tried to hurt Rizwan: ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচে সাম্প্রতিক সময়ে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে আসে। কোহলি পাক ম্যাচে সবসময়েই দেখা যায় বাবর-রিজওয়ানদের সঙ্গে খোশ গল্প করতে। রোহিত-পন্থরাও রীতিমত বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করেন পাক তারকাদের সঙ্গে। নিউ ইয়ার্কেও সেই চিত্র-ই বহাল থাকল।
তবে সম্প্রীতির তাল কাটল সিরাজের কাণ্ডে। পাকিস্তান ইনিংসের সপ্তম ওভারের ঘটনা। সেই সময় সিরাজের বল শক্তপোক্ত ডিফেন্স করেছিলেন। সিরাজের কাছে সেই বল আসতেই তিনি আক্রমণাত্মকভাবে ছুঁড়ে দেন রিজওয়ানের উদ্দেশ্যে। বল সরাসরি তাঁর হাতে আঘাত করে। তাঁকে রীতিমত যন্ত্রণা পেতেও দেখা গিয়েছে।
আসলে সেই সময় ভারত উইকেটের খোঁজে মরিয়া হয়ে বোলিং করছিল। যেন তেন প্রকারে পাক ইনিংসে বিপর্যয় ঘটানোই লক্ষ্য ছিল সিরাজদের। ক্রিজে রিজওয়ান লড়াই চালাচ্ছিলেন উসমান খানকে সঙ্গে নিয়ে।
We loved it Siraj Miyaan pic.twitter.com/4OUGMddPCa
— 𝐊𝐨𝐡𝐥𝐢𝐧𝐚𝐭!𝟎𝐧_👑🚩 (@bholination) June 9, 2024
তবে সেই ঘটনা বেশিদূর গড়ায়নি। সিরাজ বন্ধুত্বের বার্তা দিয়ে হাত মিলিয়ে আসেন রিজওয়ানের সঙ্গে। ধারাভাষ্যকার হিসাবে সেই সময় কমেন্ট্রি করছিলেন ওয়াসিম আক্রম। তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'রিজওয়ান শক্তপোক্ত ছেলে। নিজেকে সামলে নিয়ে ব্যাটিং করে যাবে ও।'
রিজওয়ান অবশ্য দলকে জয়ের সন্ধান দিতে পারেননি। কার্যত জিতে যাওয়া ম্যাচে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায় তাঁর উইকেট। এমনকি ম্যাচের ১৪ তম ওভার পর্যন্ত-ও ৮০ শতাংশ জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে এগোচ্ছিল পাকিস্তান। সেই সময় পাকিস্তানের স্কোর ছিল ৮০ রান। হাতে ৭ টা উইকেট। ৩৬ বলে তখন দরকার ৪০ রান। তবে বুমরার সেই ম্যাজিক ওভার-ই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
বুমরা ১৫তম ওভারে রিজওয়ানকে ফিরিয়ে পাক ব্যাটিংয়ের বিপর্যয়ের সূত্রপাত ঘটিয়ে যান। তারপর আর থামানো যায়নি টিম ইন্ডিয়াকে। ১৫, ১৬ এবং ১৭- এই তিন ওভারে ভারত খরচ করার মাত্র ১০ রান। এই তিন ওভারে বুমরা-হার্দিক-অক্ষররা ম্যাচের গতি নির্ধারণ করে দেয়। শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য তাই কঠিন পিচে টার্গেট নেমে দাঁড়ায় ৩০-এ। তবে সেটা কার্যত অসাধ্য সাধন করার মতই ব্যাপার। সেটাই হল শেষমেশ।