Kamran Akmal insults Arshdeep Singh religion: ভারত পাকিস্তান ম্যাচ গড়াল এবার ধর্মীয় বিতর্ককে উস্কে দিয়ে। যার তিন চরিত্র। কামরান আকমল, অর্শদীপ সিং এবং হরভজন সিং। কামরান আকমলের বিরুদ্ধে শিখ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগকে আহত করার অভিযোগ উঠে গেল। হরভজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠার পরেই ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন কামরান আকমল।
কী ঘটেছিল?
ভারত পাকিস্তান ম্যাচ চলার সময়েই পাকিস্তানের ARY নিউজ চ্যানেলে ক্রিকেট বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসাবে হাজির ছিলেন হরভজন এবং কামরান আকমল দুজনেই।
পাকিস্তানের রান চেজ যখন ডেথ ওভারে পৌঁছয় সেই সময়ই আকমল বিদ্রুপ করে বসেন অর্শদীপ সিংকে। সরাসরি বলে দেন, "ম্যাচে যে কোনও ফলাফল হতে পারে। তবে শেষ ওভার তো অর্শদীপকেই করতে হবে। আজ তো একদম ছন্দে নেই। আর এখন তো ১২ টা বেজেও গেছে ঘড়িতে।"
আসলে শিখ সম্প্রদায়কে আহত করার জন্য 'রাত ১২-টা' এই শব্দগুচ্ছ বেছে নেয়। অতীতে ইরান এবং আফগানিস্তান থেকে আগত দস্যু লুটেরার দলকে শায়েস্তা করার জন্য মাঝরাতকেই বেছে নেওয়া হয়। সেই থেকেই শিখ সম্প্রদায়কে টেনে এই মজার সূত্রপাত।
এরপরে পাল্টা ক্ষেপে যান হরভজন। প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দেন। সরাসরি বলে দেন, "কামরান তোমার সর্বনাশ হয়ে যাক। নিজের দুর্গন্ধযুক্ত মুখ খোলার আগে শিখ সম্প্রদায়ের ইতিহাস জেনে নাও। তোমার মা-বোনদের আমরা বহিরাগত দস্যুদের অপহরণের হাত থেকে বাঁচিয়েছি। তখন রাত ১২টাই বাজত। লজ্জা হওয়া দরকার। একটু তো কৃতজ্ঞতাবোধ থাকুক।"
নিজের ভুল স্বীকার করে আকমল পরে সর্বসমক্ষে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন। টুইটারে লিখে দেন, "আমি আমার সাম্প্রতিক মন্তব্যের জন্য গভীরভাবে দুঃখিত এবং হরভজন সিং ও শিখ সম্প্রদায়ের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আমার বক্তব্য অনুপযুক্ত এবং অসম্মানজনক ছিল। সারা বিশ্বের শিখদের প্রতি আমার পরম শ্রদ্ধা রয়েছে এবং আমি কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না। আমি সত্যিই দুঃখিত।"
কামরানের অসম্মান স্বত্ত্বেও অর্শদীপ ভারতকে ম্যাচ জিতিয়েই ছেড়েছেন। শেষ ওভারে ১৭ রান ডিফেন্ড করতে নেমে অর্শদীপ ১১ রানের বেশি খরচ করেননি। তারকা বোলার পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৩১ রান খরচ করে তুলে নেন ১ উইকেট।