T20 World Cup Super Overs: বিশ্বকাপের রোমাঞ্চ নিয়ে হাজির হল দ্বিতীয় দিন। প্রথম দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারতে হারতে কোনওরকমে রক্ষা পেয়েছিল পিএনজির বিপক্ষে। দ্বিতীয় দিনে আবার ওমান বনাম নামিবিয়া ম্যাচে থ্রিলার। গ্রুপ বি-র ম্যাচ খতম হল টাই-য়ে। ১২ বছর পট বিশ্বকাপের কোনও সংস্করণ দেখল সুপার ওভার।
প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়ার রুবেল ট্র্যাম্পেলম্যানের সামনে হোঁচট খেতে হয়েছিল ওমানকে। ইনিংসের প্ৰথম দুই বলেই বাঁ হাতি পেসার আউট করেন ওপেনার কাশ্যপ এবং আকিব ইলিয়াসকে। দ্বিতীয় ওভারে তুলে নেন উইকেটকিপার নাসিম খুশিকে। এরপরে আর দাঁড়াতে পারেনি ওমান। ১৯.৪ ওভারেই ১০৯ রানে থেমে যায় তাঁদের ইনিংস। ওমানের মিডল অর্ডারে ধস নামান বর্ষীয়ান তারকা ডেভিড ওয়েইজ। তিন উইকেট দখল করেন দক্ষিণ আফ্রিকান প্রাক্তন অলরাউন্ডার। রুবেল কেরিয়ারের সেরা বোলিং প্রদর্শন করেন ২১/৪-এ।
অল্প রান তাড়া করতে নেমে নামিবিয়া নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রেখেছিল ম্যাচের ভাগ্য। তবে শেষদিকে সাঁড়াশি চাপ দেয় ওমানের বোলিং। শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ৫ রান। মিডিয়াম পেসার মেহরান খান দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ টাই করে দেন। আউট করেন জান ফ্রাইলিংক এবং জেন গ্রিনকে। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। ক্রিজে ছিলেন ওয়েইজ। তিনি ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হলেও উইকেটকিপার বল মিস করে বসেন। বাই-য়ে দুই রান নেওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই ম্যাচ টাই হয়ে যায়।
টি২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই ম্যাচ চতুর্থতম যেখানে ম্যাচ টাইয়ে পর্যবসিত হল। ২০০৭-এ ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ টাই হয়েছিল। সেবার ভারত জয়ী হয় বোল আউটের মাধ্যমে। ২০১২-য় ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কা বনাম নিউজিল্যান্ড টাই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত হয় সুপার ওভারে। সেই বছরেই নিউজিল্যান্ড আরও এক টাই ম্যাচ উপহার দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। দুই ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডকে হারতে হয়েছিল।
শেষ ওভারে ম্যাচ ফিনিশ না করার আক্ষেপ পুরোপুরি ঘুচিয়ে দেন ডেভিড ওয়েইজ। নামিবিয়া সুপার ওভারে ব্যাট করতে নেমে ২১ তুলে দেয়। ওয়েইজ এবং জেরহার্ড ইরাসমাস মিলে তিনটে বাউন্ডারি, একটা ওভার বাউন্ডারিতে ২১ তুলে দেন। জবাবে নামিবিয়া ১১-র বেশি তুলতে পারেনি। সুপার ওভারে ৪ বলে ১৩ করার পর বল হাতে সুপার ওভারেই এক উইকেট নেন ওয়েইজ। নামিবিয়ার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের নায়ক তিনিই।