Azam Khan eating fast food: এমনিতেই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের এবারের পারফরম্যান্স বেশ খারাপ। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের কাছে পরাজিত হয়েছে অধিনায়ক বাবর আজমের দল। তার ওপর বিশ্বকাপারদের ডায়েট চার্ট-সহ অন্যান্য নিয়মকানুন প্রকাশ্যে ভাঙতে দেখা গেল পাক ক্রিকেটার আজম খানকে। পাকিস্তান দলে পেটুক বলে পরিচিত মোটাসোটা আজম মধ্যরাতে নিউইউর্কের ফুডকোর্টে খাবারের সন্ধানে ঘুরে বেড়ালেন। শুধু ঘোরাঘুরিই নয়। ওই রাতে সেখানে ভরপেট খাওয়া দাওয়াও সারলেন। যা দেখে, অনেকেই বলাবলি শুরু করেছেন যে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা আসলে খেলতে নয়, বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট উপলক্ষে বেড়াতে এসেছে।
আজম খান অবশ্য ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে ছিলেন না। উইকেটরক্ষক ব্যাটার আমেরিকার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচে শূন্য রান করেছেন। উইকেটকিপার হিসেবেও ভালো কিছু করে দেখাতে পারেননি। যা দেখে, ওয়াসিম আক্রমের মত অনেক প্রাক্তনই কড়া ভাষায় আজম খানের কঠোর সমালোচনা করেছেন। আজম খান পাকিস্তান দলে থাকার যোগ্যই নয়। এমন অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকারা। যার ফলে, আজমকে আর ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে রাখতে ভরসা পাননি বাবর আজমরা।
আজম অবশ্য তাতেও খোশমেজাজে। নিজের খাওয়াদাওয়া নিয়ে বহাল তবিয়তে আছেন। ফুড কোর্টে খাওয়া দাওয়ার সময় আজম সাংবাদিকদের নজরে পড়ে যান। তাঁদের না এড়িয়ে কথাবার্তাও বলেন। আর, সেটাই ফাঁস হয়ে যায় সর্বত্র। এমনকী, এনিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছে পাকিস্তানের সহকারি কোচ আজহার মেহমুদকে। এক সাংবাদিক তাঁকে সরাসরি প্রশ্ন করেছেন, 'ডালাস থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত আমরা তো দেখছি খেলোয়াড়দের ডায়েট প্ল্যান দেওয়া হয়েছে। খেলোয়াড়দের নানা নিয়মকানুন মানতে হচ্ছে। তারপরও আমরা দেখছি খেলোয়াড়রা রাত ১টা, দেড়টার সময় বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন, খেয়ে বেড়াচ্ছেন!'
আজমকে আড়াল করার চেষ্টা করে মেহমুদ পালটা বলেন, 'আপনি কি এসব ম্যাচের দিন দেখেছেন? ক্রিকেটটা মাঠে খেলা হয়। ক্রিকেটের বাইরে একজন ক্রিকেটারের জীবন থাকে। আপনি যদি একটা ম্যাচ হারেন, আপনার জীবন কিন্তু, শেষ হয়ে যায় না। হেরে যাওয়ার পর ঘরের বদ্ধ পরিবেশ থেকে বাইরে এসে মনটাকে একটু সতেজ করার জন্যও তো সময় দরকার। আর, আমাদের খেলোয়াড়রা ওরকম নয়। আমি ইংল্যান্ডের দলকেও দেখেছি। ওরা এমন জায়গায় যায় যে আপনি ভাবতেও পারবেন না! আর, আমাদের প্লেয়ার তো স্রেফ খেতে গেছে। এতে ডায়েট প্ল্যান না মানার কী আছে?'
তবে, মেহমুদ এভাবে আজমকে আড়াল করার চেষ্টা করলেও কানাডার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের সাংবাদিক বৈঠকে, খেলার প্রশ্ন ছেড়ে আজমের এই খাদ্যপ্রীতিই দাগ কাটল। মেহমুদ অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন আজম রাতে খেতে গিয়েছিলেন। এনিয়ে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে অবশ্য আজমের মুখটা স্পষ্টভাবে ধরা পড়েনি। কিন্তু, কোচ মেহমুদ যখন মেনেই নিয়েছেন যে আজম খেতে গিয়েছিল। তখন তার চেয়ে বড় প্রমাণ আর কী হতে পারে?