Rahul Dravid on ICC arrangements: বিশ্বকাপের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্রিকেট মহলের ক্ষোভের আগুন টের পাচ্ছে আইসিসি। ভারত আগেই ক্যান্টিগ পার্কের অনুশীলনের ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিল। এবার সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড এবং ট্র্যাক নিয়ে বিতর্ক। অস্বাভাবিক বাউন্স এবং স্লো আউটফিল্ড শ্রীলঙ্কা বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচকে বিতর্ক জর্জরিত করেছে।
এর মধ্যেই সামনে এল আরও এক অসন্তোষ। বুধবার-ই ভারত বিতর্কবিদ্ধ নাসাউ স্টেডিয়ামে নামবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। প্ৰথম ম্যাচ বাদ দিয়েও এই ভেন্যুতে ভারতকে আরও তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে। ম্যাচের একদিন আগেই রাহুল দ্রাবিড় কার্যত একহাত নিয়ে নেন আইসিসিকে।
"পাবলিক পার্কে অনুশীলন করা অবাক করার মত বিষয়। ওয়ার্ল্ড কাপে অবশ্যই বড় স্টেডিয়াম, নিদেনপক্ষে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করার কথা। তবে আমাদের পাবলিক পার্কে অনুশীলন করতে হচ্ছে।"
নিউ ইয়র্কের শ্রীলঙ্কা বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পরেই ক্রিকেট মহলের কাঠগড়ায় আইসিসি। সরাসরি বলে দেওয়া হচ্ছে, এই পিচ টি২০ তো বটেই ক্রিকেটের পক্ষেই উপযুক্ত নয়।
শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কোনওরকমে স্কোরবোর্ডে ৭৭ রান জড়ো করেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের মধ্যে আনরিখ নর্জে ৪ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ধূলিসাৎ করে দেন। লঙ্কানদের সবথেকে মারকুটে তারকা কুশল মেন্ডিস ৩০ বলে করেন ১৯ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার জয় নিয়ে কখনই কোনও সংশয় ছিল না। তবে প্রোটিয়াজদের জয়-ও এসেছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। স্ট্রোক প্লে কার্যত সম্ভব-ই নয় এই পিচে। কিছুদিন আগেই দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আইপিএলে ঝড় তোলা ট্রিস্টান স্টাবস করলেন ২৮ বলে ১৩।
নিউইয়র্কের এই নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পিচ তৈরির দায়িত্বে ছিলেন ডামিয়েন হাউ। যিনি এডিলেড ওভালের নামজাদা পিচ কিউরেটর। তবে ঘটনা হল, এই পিচেই বুধবার ভারত গ্রুপের প্ৰথম ম্যাচ খেলতে নামছে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। স্ট্রোক প্লেয়ারে বোঝাই ভারতীয় দলের এই পিচের কন্ডিশন দেখেই আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যাওয়ার জোগাড়। যদিও আইসিসির আশা, টুর্নামেন্ট যত গড়াবে, পিচ স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে এই পিচ সহজ হয়ে আসবে, জানাচ্ছে আইসিসি।