SA vs AFG: ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমি স্টেডিয়ামের পিচে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেমিফাইনালে সর্বনিম্ন স্কোরের নজির গড়ে একদম বিধ্বস্ত হয়েছে আফগানিস্তান। আর তার পর থেকেই এই পিচ ক্রিকেট বিশ্বের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এল। বিশ্বকাপের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্বে নিউ ইয়র্ক স্টেডিয়ামের যে পিচ আন্ডার প্রিপেয়ার্ড তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছিল আইসিসি। এমনকি ক্যারিবিয়ান পর্বেও একাধিক ভেন্যুতে ব্যাটিং করা দুরূহ কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে সমস্ত বিতর্ককে ছাড়িয়ে যাচ্ছে প্ৰথম সেমিফাইনালের পিচ। সিম মুভমেন্ট তো বটেই ধারালো অতর্কিত বাউন্স দুই দলের ব্যাটারদেরই তীব্র সমস্যায় ফেলেছে।
পন্টিং সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বলেই দিলেন, "একটা আদ্যোপান্ত তরতাজা পিচ সেমিফাইনালে ব্যবহার করা হল। যেখানে অগ্রিম কোনও ধারণাই ছিল না, পিচ কেমন আচরণ করবে। এর আগেও একটা ম্যাচ দেখেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। যেখানে ১৪০-১৫০ স্কোরের ম্যাচ হয়েছিল। অন্তত দুই দলের কাছেই ধারণা ছিল পিচ কেমন হতে চলেছে। হ্যাঁ, পিচে বল সুইং করছিল। এটা ঠিক আছে। এটার মোকাবিলা করা যেতেই পারে। কিন্তু বাউন্স এবং সিমের যে বৈচিত্র্য- পিচ কিউরেটর এরকম একটা বড় মুহূর্তে এরকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করল! যদিও আমি গ্রাউন্ডসম্যান নই।"
আরও পড়ুন: মাঠেই কুকীর্তি রশিদ খানের, আইসিসির চরম শাস্তি আফগান অধিনায়ককে
মার্কো জ্যানসেন, কাগিসো রাবাদারা গুড লেন্থ ধরে বোলিং করে যাচ্ছিলেন। জ্যানসেন তাঁর উচ্চতার জন্যই অতিরিক্ত বাউন্স আদায় করে নিচ্ছিলেন। আক্রমণে এনরিখ নকিয়া আসার পর আবার-ও কাণ্ড। হার্ড লেন্থে বল করেন নকিয়া। তাঁর একটা ডেলিভারি তো ব্যাটাসম্যানদের মাথার অনেক ওপর দিয়ে উড়ে গেল। করিম জানাত স্ল্যাশ করতে গেলেন। তবে পারেননি। উইকেটকিপারের মাথার ওপর দিয়ে লেগ বাই হয়ে চার রান যোগ হয়েছিল আফগানদের খাতায়।
আরও পড়ুন: সব দলকে বিপদে ফেলে ICC-র নির্লজ্জ সুবিধা ভারতকে! আফগানিস্তান হারতেই মেজাজ হারালেন মাইকেল ভন
দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের সময় অসমান বাউন্স ভয়ঙ্করভাবে মাথা চাড়া দিল। নভিন উল হকের একটা গুড লেংথের ডেলিভারি সোজা ডিককের পায়ে লাগে। অন্য ক্ষেত্রে আবার বাউন্স আদায় করে উইকেটকিপারের হাতে জমা পড়ে। এমনকি ফজলহল ফারুখির ফুল লেন্থের বল-ও বাউন্স আদায় করে সমস্যায় ফেলছিল প্রোটিয়াজ ব্যাটারদের। আজমাতুল্লা ওমরজাইয়ের এক ওভারে তিন রকম বাউন্সও দেখা গেল একই লেংথের ডেলিভারিতে।
কোনওরকমে আফগানিস্তান তিন অঙ্কের দলীয় রান ছুঁয়ে ফেলতে পারলে সেমির গল্প যে অন্যরকম হত না, তা কি কেউ জোর গলায় বলতে পারে!