Hardik Pandya, Rohit Sharma and Rishabh Pant: প্রতিশোধের একটা বৃত্ত সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের জ্বালা জুড়োনো গিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে টি২০ বিশ্বকাপের বাইরে ছিটকে দিয়ে। এবার ভারতের সামনে প্রতিশোধের দ্বিতীয় ধাপ। সেমিতে মুখোমুখি হেভিওয়েট ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের কাছে সেমিতে হেরেই গত টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের অভিযান সংক্ষিপ্ত হয়েছিল। দুই নম্বর প্রতিশোধের আগেই যত কাণ্ড।
ফের চোটের কবলে পড়তে চলেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তারকা অলরাউন্ডার ব্যাটে-বলে অপ্রতিরোধ্য ছন্দে রয়েছেন। ভারতের সেমিফাইনাল পর্যন্ত অপরাজিত থাকার নেপথ্যে হার্দিকের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। বল হাতে যেমন ৮ উইকেট তুলে নিয়েছেন, ব্যাট হাতেও করেছেন মূল্যবান ১১৬ রান। একটা ফিফটি সমেত। হার্দিককে হারানো মানেই দলের ভারসাম্যই নষ্ট হয়ে যাওয়া। তবে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে গুরুতর চোট পেতে পারতেন হার্দিক।
রান চেজ করতে নেমে অস্ট্রেলীয় ব্যাটিং অর্ডারের লেজটুকু তখন পড়ে রয়েছে। ক্রিজে ছিলেন মিচেল স্টার্ক। হার্দিক সেই ওভারের স্লোয়ার ফেলেছিলেন এক ডেলিভারিতে। স্টার্ক ব্যাটে-বলে কানেক্ট করতে পারেননি। বল চলে যায় সোজা উইকেটকিপার পন্থের কাছে। পন্থ স্ট্যাম্প লক্ষ্য করে সজোরে ছুঁড়ে দেন। ছুড়ে দেওয়া বল স্ট্যাম্প মিস করে সোজা আঘাত হানে হার্দিকের হাতে। গোটা ঘটনায় ভীষণ বিরক্ত হন হার্দিক। এমনকি ক্যাপ্টেন রোহিতকেও অসন্তুষ্ট হতে দেখা যায়।
ভারতে অনুষ্ঠিত গত বিশ্বকাপে হার্দিক পান্ডিয়া বাংলাদেশ ম্যাচে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন। তারপর ভারতের দলীয় ভারসাম্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একজন বোলার কম নিয়ে নামতে হয়েছে প্রত্যেক ম্যাচে। বাকি কোনও ম্যাচে বোঝা না গেলেও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হার্দিকের অভাব টের পেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।
যাইহোক, ম্যাচে রোহিত শর্মার অনবদ্য ৪১ বলে ৯২ এবং তারপর সূর্যকুমার যাদব (১৬ বলে ৩১) এবং হার্দিক পান্ডিয়াদের (১৭ বলে ২৭) অবদানে ভর করে ভারত স্কোরবোর্ডে ২০৫/৫ তুলে দিয়েছিল। সেই রান তাড়া করতে নেমে অজিদের দুর্ধর্ষ সূচনা উপহার দিয়েছিলেন ট্র্যাভিস হেড। তবে অজিরা সেই মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৭/৭-এর বেশি এগোতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।