Understanding T20 World Cup Seeding System: টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপ একদম বিজনেস এন্ডে পৌঁছে গিয়েছে। বুধবারের পর মাত্র আটটা দল বিশ্বকাপ অভিযান বহাল রাখবে।
সুপার-৮ পর্বে আটটা দলকে দুটো গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। দুই গ্রুপে থাকা চারটি দল নিজেদের মধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলবে। এরপর দুই গ্রুপ থেকে শীর্ষস্থানীয় দুই দল সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করবে।
টি২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ বিন্যাস
গ্রুপ-এ'তে রয়েছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান। চতুর্থ দল হিসেবে লড়াই বাংলাদেশ অথবা নেদারল্যান্ডসের মধ্যে। গ্রুপ-বি'তে রয়েছে ইউএসএ, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া কীভাবে একই গ্রুপে?
চলতি বিশ্বকাপের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল সুপার ৮ পর্ব রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে খেলা হচ্ছে। গ্রুপ পর্বে ২০টি দলকে চারটে গ্রুপে ফেলা হয়েছিল।
তবে যে ঘটনা আশ্চর্যের তা হল, ভারত-অস্ট্রেলিয়া একই গ্রুপে রয়েছে। দুই দলই গ্রুপ পর্বে টপার হওয়া স্বত্ত্বেও। তার থেকেও বড় কথা অস্ট্রেলিয়াকে গ্রুপ বিন্যাসের সময় দেখানো হচ্ছে B2 দল হিসাবে। যেখানে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের গ্রুপে শীর্ষস্থান অর্জন করে শেষ আটে পৌঁছেছে।
গ্রুপ টপার হওয়া সত্ত্বেও কেন অস্ট্রেলিয়াকে এই সিডিং দেওয়া হচ্ছে?
এবার বিশ্বকাপ আয়োজিত হচ্ছে ইউএসএ এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ মিলিয়ে। ক্যারিবিয়ান একাধিক দ্বীপ দিয়ে তৈরি বেশ কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্রের সমাহার। অন্য দেশ থেকে আগত দর্শকদের যাতে তাঁদের হোম টিমের ম্যাচের ভেন্যুর ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ধারণা থাকে, সেই কথা মাথায় রেখেই সিডিং এরকম করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- চ্যাম্পিয়ন করেই কেকেআর ছাড়ছেন গম্ভীর! জুনের শেষেই বিরাট আপডেট, বড় ধাক্কায় শাহরুখ
এই সিডিং সিস্টেমে কি অস্বচ্ছতা রয়েছে?
অবশ্যই। প্রত্যেক দলের গ্রুপ পর্বের অবস্থান অনুযায়ী সুপার ৮-এর গ্রুপ নির্ধারণ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া নিজেদের গ্রুপে শীর্ষে থাকুক বা দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ালিফাই করুক, তাঁর গ্রুপ যেন আগাম নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে গ্রুপ-বিতে।
ক্রিকেট.কম.এইউ লিখেছে, অস্ট্রেলিয়া নিজেদের আগাম অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে গ্রুপ পর্বের কোয়ালিফিকেশনের দল নির্বাচনকে প্ৰভাবিত করতে পারত। গ্রুপ-বিতে স্কটল্যান্ডের কাছে শেষ ম্যাচে হেরে বসলেও অজিদের সমস্যা হত না। তাঁদের তো আগাম নিজেদের সুপার-৮ গ্রুপ চূড়ান্ত হয়েই রয়েছে। স্কটল্যান্ডের কাছে অজিরা হেরে গিয়ে ইংল্যান্ডের বিদায় নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল তাঁদের।
ঘটনাচক্রে, আইসিসির সিডিং সিস্টেম এমনই ছিল, কোনও গ্রুপের সিডেড টিম সুপার-৮ পর্বে কোয়ালিফাই করতে না পারলে গ্রুপের দ্বিতীয় সেরা দল সেই সিডিং সিস্টেমের ফায়দা নিতে পারে। এই কারণেই আফগানিস্তান গ্রুপের দ্বিতীয় হওয়া সত্ত্বেও সিডিং C1। কারণ আইসিসির তরফ থেকে আগাম পূর্বাভাস করা হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের ওপর। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই গ্রুপের প্ৰথম স্থানে থাকলেও এই কারণে সিডিং করা হয়েছে C2 হিসাবে।