Team India under Rohit Sharma captaincy: প্রতিশোধের বৃত্ত সম্পন্ন হয়েছে। আন্টিগা থেকে গায়ানায় ভারত দুই নম্বর প্রতিশোধ নিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে। গত বিশ্বকাপের ফাইনালে যাঁদের কাছে হারতে হয়েছিল সেই অজিদের চূর্ণ করা হয়েছিল সুপার-৮'এই। এবার ২০২২-এর সেমিফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ হওয়া সেই ইংরেজদের বিধ্বস্ত করেছে টিম ইন্ডিয়া। ১০ উইকেটে হার হজম করার পাল্টা ভারত দিয়েছে ৬৮ রানের একপেশে জয়ে।
আর সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে গেলেন রোহিত শর্মা। প্ৰথমে ব্যাট হাতে লো স্কিডিং সারফেসে তুখোড় হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে যেতে সাহায্য করলেন। তারপর কুশলী ফিল্ডিং, বোলিং পরিবর্তন করে ইংল্যান্ডকে বশ করলেন।
চলতি বিশ্বকাপে ভারতের হয় সর্বোচ্চ রান স্কোরার রোহিতই (৭ ম্যাচে ২২৮ রান)। কোহলি যখন কেরিয়ারের নতুন খাদে পড়ে গিয়েছেন। সেখানে রোহিত সম্ভবত জীবনের শেষ বিশ্বকাপ রাঙিয়ে যাচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ৯২-এর পর সেমিতে ইংল্যান্ড ম্যাচেও রোহিতের ব্যাট থেকে বেরোল ৫৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস।
২০২১-এ কোহলিকে সরিয়ে রোহিতের হাতে টিম ইন্ডিয়ার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। তারপর ভারত ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছে। দু-বারই অজি প্রাচীরে ধাক্কা খেয়েছে রোহিতের নেতা হিসেবে আইসিসির ট্রফি জয়ের স্বপ্ন। এবার শেষ সুযোগ তাঁর কাছে।
আর মাত্র একটা ম্যাচ। বারবার নকআউটে ধাক্কা খাওয়া ভারত আর একটা ম্যাচ জিততে পারলেই রোহিতের রাজত্ব পূর্ণতা পাবে।
যেভাবে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ক্যাপ্টেন রোহিত, তাঁর-ই প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন এবার স্বয়ং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। রোহিতের কেরিয়ারে একাধিক দিক বদলের কথা উল্লেখ করে সৌরভ জানাচ্ছেন, 'কেরিয়ারের বৃত্ত পূর্ণ হতে।চলেছে তাঁর।' গত ডিসেম্বরেই রোহিতকে সরিয়ে হার্দিক পান্ডিয়াকে ক্যাপ্টেন করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল আইপিএল দুনিয়ায়। সমর্থকরা অতিষ্ট করে দিয়েছিলেন হার্দিককে। মুম্বই নেতৃত্ব বদলের সেই ধাক্কা সামলাতে পারেনি। আইপিএলের লাস্ট বয় হয়ে থাকতে হয়েছে।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সৌরভ বলেছেন, "রোহিতের জন্য খুব ভালো লাগছে। জীবনের একটা বৃত্ত সম্পন্ন হচ্ছে। মাস ছয়েক আগে ও এমনকি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সেরও ক্যাপ্টেন ছিল না। এখন সেই ব্যক্তিই অপরাজেয় ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিতে চলেছে বিশ্বকাপ ফাইনালে।"
সৌরভ বোর্ড সভাপতি থাকার সময়েই বিরাটকে সরিয়ে তিন ফরম্যাটের ক্যাপ্টেন করা হয় রোহিতকে। পুরোনো সেই সময়ের কথা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মহারাজ বলেছেন, "ও দুটো ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনাল খেলেছে। যেখানে ও অপরাজিত থেকে ফাইনালে খেলেছে। এতেই ওঁর নেতৃত্ব দক্ষতা প্রমাণিত। আমি মোটেই ওঁর এই গান4 দেখে অবাক নই। আমি বোর্ড সভাপতি থাকার সময়েই বিরাট যখন নেতৃত্ব দিতে চাইছিল না, সেই সময়েই ও অধিনায়ক হয়েছিল। ওঁকে অধিনায়ক করতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছিল। কারণ ও জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিতে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে ওঁকে অধিনায়ক করা হয়। ওঁর নেতৃত্বে জাতীয় দলের যেভাবে অগ্রগতি হয়েছে, তাতে আমি অভিভূত।"