India vs Bangladesh T20 World Cup warm-up match: বড় টুর্নামেন্টে খেলতে নামার আগে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ ক্রিকেটারদের যেমন ছন্দ ফেরাতে সাহায্য করে তেমন পরিবেশ-পরিস্থিতি, পিচ কন্ডিশন, ওয়েদার সমস্ত কিছুই যাচাই করে নেওয়ার সুযোগ থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সম্প্রতি টি২০ সিরিজ হেরে যাওয়া বাংলাদেশ যতই শক্তি-সামর্থ্যের বিচারে যোজন দূরে পিছিয়ে থাকুক না কেন, ভারতীয় দলের টিম কম্বিনেশন থেকে একাধিক বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেল শনিবারের গা ঘামানো ম্যাচ থেকে।
ঋষভ পন্থ তিন নম্বরে
বিরাট কোহলি খেলেননি। তবে তিন নম্বরে পন্থের আগমন টিম কম্বিনেশনের কিছু হদিশ দিয়ে গেল। প্রতিপক্ষ দল যদি বাঁ হাতি স্পিনারদের দিয়ে কোহলি-রোহিতের ওপর চাপ তৈরির খেলা নেয় তাহলে সেই চাপ প্রশমিত করতে পাঠানো হবে ঋষভ পন্থকে। তারকা উইকেটকিপার ব্যাটার সেটাই করলেন। টার্গেট করলেন সাকিব আল হাসানকে। রিভার্স সুইপ এবং সুইচ হিটে একের পর এক বল বাউন্ডারিতে আছড়ে ফেললেন। মিডিয়াম পেসারদের সামনে পন্থের অস্ত্র হয়ে দাঁড়াল উইকেটের পিছনে 'ভি' অংশ দিয়ে নো লুক ফ্লিক শট। ৩২ বলে ৫৩ করে পন্থ জাতীয় দলের সামনে অনেক অপশন এনে হাজির করলেন।
জয়সওয়াল কোথায়
কোহলি খেলছেন না। এই সময় রোহিতের সঙ্গে ভাবা হয়েছিল যশস্বী জয়সওয়াল ওপেন করবেন। তবে সঞ্জু স্যামসনকে নামতে দেখা গেল। এতেই স্পষ্ট ভারত ওপেনিংয়ে বাঁ হাতি-ডান হাতি জুটি নিয়ে ভাবছে না। স্যামসন হয়ত স্রেফ কোহলির মত ডান হাতি হওয়ায় নামার সুযোগ পেলেন। তবে স্যামসন মোটেও সুবিধা করতে পারলেন না। ৬ বলে মাত্র ১ করলেন। কিপার-ব্যাটার লড়াইয়ে প্ৰথম এগারোর যে পন্থ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
জ্বলে উঠতে ব্যর্থ শিভম দুবে
আইপিএলে স্পিন-সংহারক হিসাবে পরিচিতি পাওয়া শিভম দুবেকে মিডল অর্ডারে নামানো হয়েছিল। তবে সিএসকে তারকাকে ড্রপ ইন পিচে কার্যত খাবি খেতে দেখা গেল। ঠিকমত ব্যাটে বলে কানেকশন-ই করতে পারলেন না। ১৬ বলে কোনওরকমে খোঁড়াতে খোঁড়াতে ১৪ করলেন। মেহেদি হাসানের বলে ছক্কাও হাঁকালেন। তবে অনেক আগেই আউট হয়ে যেতে পারতেন দুবে। এমন সময়ে ব্যাট করতে নামানো হয়েছিল তাঁকে, যে সময় কোনও চাপ-ই ছিল না। তবে প্ৰথম একাদশে ঢোকার জন্য নিজের দাবি জোরালোভাবে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ বাঁ হাতি বিগ হিটার।
শেষদিকে হার্দিকের ঝড়
কয়েকটা মাস দুঃস্বপ্নের কেটেছে। তবে বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে আশা জাগালেন হার্দিক পান্ডিয়া। ইনিংসের শেষদিকে নেমে তান্ডব চালালেন। এমনকি উইকেটও পেলেন। অফস্পিনার তানভির ইসলামের বলে ছক্কার হ্যাটট্রিক হাঁকালেন তিনি। হার্দিকের বিস্ফোরণ ভারতকে ১৮২-তে পৌঁছে দেয়। যে স্কোর যে কোনও পিচে বাংলাদেশের আয়ত্তের বাইরে। একই সঙ্গে বিগ হিট করার সক্ষমতা এবং নতুন বলে আক্রমণ করার দক্ষতা- ভারতীয় ক্রিকেটে বিরল প্রতিভা হার্দিক।
নতুন বলে অনবদ্য অর্শদীপ
ভারত যদি দুজন স্পেশালিস্ট পেসার খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তাহলে সিরাজ নয়, বুমরার সঙ্গী হবেন অর্শদীপ সিং। বাঁ হাতি বোলিংয়ে কৌণিক বিভ্রম তৈরি করা এবং বল মুভ করানোর দক্ষতা তাঁকে এগিয়ে রাখবে। যে পিচে বাউন্স এবং সুইং রয়েছে, সেখানে বাংলাদেশকে জল ছাড়া মাছের মত খাবি খেতে দেখা গেল।