Umpiring error in South Africa vs Nepal: শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। এশীয় দল হিসেবে নেপাল সুপার এইট-এ পৌঁছনোর আশা জাগিয়ে তুলেছিল। তবে মাত্র ১ রানের ব্যবধানে হেরে নেপালের আর ইতিহাস গড়া হল না। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২ রান। নেপালি ব্যাটার গুলশান ঝাকে রান আউট করে নেপালের আশা খতম করে দেন হেনরিখ ক্ল্যাসেন।
মাত্র কয়েক ইঞ্চি ব্যবধানে রয়ে গেল গুলশানের ব্যাট। সেই রান হলেই ম্যাচ গড়াত সুপার ওভারে। তবে শেষ বলে রান আউট হয়ে যাওয়ায় সুপার ওভারে খেলা গড়ায়নি।
তবে নেপাল কি আম্পায়ারের ভুলে ইতিহাস গড়া থেকে বঞ্চিত হল? এমনটাই মনে করছে ক্রিকেট মহলের একাংশ। শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৮ রান রক্ষা করার দায়িত্ব ছিল অটোনিল বার্টম্যানের ওপর। সেই ওভারেই তাঁর এক শর্ট বল গুলশান ঝা পয়েন্ট দিয়ে ফ্লিক করতে পারেননি। পিচের অতিরিক্ত বাউন্স ব্যাটের ওপর দিয়ে বলকে পাঠিয়ে দেয় কিপার ডিককের গ্লাভসে।
এখানেই ক্রিকেট মহলের অন্যরকমের যুক্তি। ওভার পিছু একটাই বাউন্সার দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। শেষ দুই বলে বার্টম্যান জোড়া বাউন্সার করলেও আম্পায়ার ওয়াইডের সিগন্যাল দেননি।
এর আগে একইভাবে বাংলাদেশ ম্যাচে আম্পায়ারের ভুল লেগ বিফোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঝড় তুলে দিয়েছিল। আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই বল হিসেব অনুযায়ী ডেড বল হয়ে যায়। যে বল প্যাডে লেগে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়। পরে রিভিউয়ে মাহমুদুল্লাহ নিজের উইকেট বাঁচিয়ে নিলেও প্রাপ্ত চার রান আর যোগ হয়নি বাংলাদেশের খাতায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেই ৪ রান-ই ফারাক হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের টি২০ দলে জায়গাই হত না বাবরের! পাক ক্যাপ্টেনকে চূড়ান্ত তাচ্ছিল্য ভনের
অবশ্য এই আম্পায়ারের ভুল বাঁচিয়ে দিল বাংলাদেশকেও। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা এবং নেদারল্যান্ডসকে হারালেও শেষ আট নিশ্চিত করতে পারেনি। নেপাল যদি দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ জিতে যেত এবং বাংলাদেশকে যদি শেষ ম্যাচে নেপাল হারিয়ে দিত- তাহলে দুই এশীয় শক্তির লড়াইয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসাবে বাংলাদেশ নয়, নেপাল জায়গা করে নিত। আম্পায়ারের ভুলে নেপাল হারলেও, বাঁচিয়ে দিল বাংলাদেশকে।
ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা সেন্ট ভিনসেন্ট স্টেডিয়ামে মাত্র ১১৫ রানে আটকে গিয়েছিল। ১৪ ওভার শেষে ৮৫-২ স্কোর নিয়ে নেপালই জয়ের ব্যাপারে ফেভারিট ছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার তাবরিজ শামসি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন দুর্ধর্ষ স্পেলে। ১৯/৪-এর স্পেলে পরপর উইকেট নিয়ে নেপালের রান চেজ বেপথু করে দেন।
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ১৬-এ। আনরিখ নকিয়ার ওভারে গুলশন ঝা ছক্কা হাঁকিয়ে ৮ তুলে দেন। শেষ ওভারে বার্টম্যানের ওভারে বাউন্ডারিও হাঁকিয়ে লক্ষ্য আরও সহজ করে দেন গুলশান। তবে শেষ দুই বলে আর মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেননি অনভিজ্ঞ নেপালি ব্যাটাররা। শেষ বলে মরিয়া হয়ে রান নিতে গিয়ে আউট হয়ে যান গুলশান ঝা।