England Ex cricketer Stuart Broad: টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপের শেষ দুই নকআউট ইনিংসেই কোহলির হাফসেঞ্চুরি ছিল। ২০১৪-য় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৪ বলে ৭২ করেছিলেন। ২০১৬-য় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৭ বলে ৮৯ করেছিলেন। এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ২০২২-এর সেমিফাইনালে ৪০ বলে ৫০ করে গিয়েছিলেন।
England Ex cricketer Stuart Broad: টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপের শেষ দুই নকআউট ইনিংসেই কোহলির হাফসেঞ্চুরি ছিল। ২০১৪-য় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৪ বলে ৭২ করেছিলেন। ২০১৬-য় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৭ বলে ৮৯ করেছিলেন। এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ২০২২-এর সেমিফাইনালে ৪০ বলে ৫০ করে গিয়েছিলেন।
Stuart Broad trolls Virat Kohli: ফাইনালের আগে কোহলিকে ট্রোলিং ব্রডের (টুইটার)
Virat Kohli trolled ahead of t20 World Cup final: বিশ্বকাপ ফাইনালে শেষ পর্যন্ত নামছেন বিরাট কোহলি। বার্বাডোজে যখন টস করতে নামবেন রোহিত-মার্করামরা, সেই সময় একটা বৃত্ত যেন সম্পন্ন হবে কোহলির। ২০১১-য় ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। তবে সেই বিশ্বকাপে ধোনির ফ্ল্যামবয়েন্স- যুবরাজের হিরোগিরি, শচীনের বিদায়ী বেলা হিসাবেই রয়ে গিয়েছে ক্রিকেট ইতিহাসে। কিংবদন্তিদের ছায়ায় ঢাকা পড়ে গিয়েছিলেন কিং কোহলি। সেই অর্থে নিজের রংয়ে রাঙিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ এখনও অপূর্ণ রয়েছে কোহলি।
Advertisment
এবারই শেষ সুযোগ। বিশ্বকাপের মত মেগা মঞ্চে এবারই হয়ত শেষবারের মত দেখা যাবে সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্রিকেট কিংবদন্তিকে।
আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বার্বাডোজে শেষ লড়াইয়ে নামার আগে আইসিসির তরফে কোহলি-র সেই মুহূর্তকে স্মরণ করে আগাম পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে।
রাজার বেশে সিংহাসনে বসে রয়েছেন। পিছনে তাঁরই বিভিন্ন সময়ের ফ্ল্যাশব্যাকের কোলাজ সম্বলিত ছবি পোস্ট করে আইসিসি ক্যাপশনে লিখে দিয়েছিল, "রাজার মাথায় শেষ রত্নের মুকুট এখনও অধরা। টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপ জয় থেকে মাত্র একটা ধাপ দূরে বিরাট কোহলি।"
অর্থাৎ আইপিএল-ও যে কোহলির অধরা, সেটাও আইসিসিকে ব্যাঙ্গাত্মকভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন ইংরেজ তারকা পেসার। বিতর্ক উস্কে দেওয়া ব্রডের এই মন্তব্য মোটেও ভালভাবে নেননি কোহলি-ভক্তরা। ব্রডকে সেই কমেন্টের নিচেই আক্রমণের শিকার হতে হয়। তড়িঘড়ি বিতর্ক এড়াতে সেই মন্তব্য মুছে দিয়ে রেহাই পান তিনি।
চলতি টি২০ বিশ্বকাপে বারবার ব্যর্থ হয়েছেন কিং কোহলি। নিজের কেরিয়ারের পরিসংখ্যান নিয়ে গিয়েছেন নতুন তলানিতে। আইসিসি ইভেন্টে নকআউট পর্বে কোহলির ব্যর্থতা বিরল দৃশ্য। সেই দৃশ্যই এবার দেখা গিয়েছিল গায়ানায় প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে।
টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপের শেষ দুই নকআউট ইনিংসেই কোহলির হাফসেঞ্চুরি ছিল। ২০১৪-য় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৪ বলে ৭২ করেছিলেন। ২০১৬-য় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৭ বলে ৮৯ করেছিলেন। এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ২০২২-এর সেমিফাইনালে ৪০ বলে ৫০ করে গিয়েছিলেন।
ভারতীয় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রিস টপলির বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। সেই ওভারেই হাঁকিয়েছিলেন ফ্লিক করে ট্রেডমার্ক ছক্কা। তবে নয় বলে মাত্র ৯ রান করেই কোহলিকে ফিরতে হয় ড্রেসিংরুমে।
এবার বিশ্বকাপে ৭ ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে বেরিয়েছে মাত্র ৭৫ রান। ১০.৭১ গড়ে। বিশ্বকাপে ওপেন করার মত গুরুদায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। তবে নতুন ভূমিকায় তিনি একদমই মানিয়ে নিতে পারছেন না। আগ্রাসী এবং রক্ষণাত্মক খেলায় ভারসাম্য বজায় রাখতে পারছেন না তিনি। আর গায়ানায় স্লো স্কিডিং সারফেস আবার-ও কোহলিকে চরমতম পরীক্ষার মুখে ফেলে ব্যর্থতার স্বাদ দিয়েছিল।
যাবতীয় ব্যর্থতা, কটুক্তির জবাব কি তিনি ফাইনালের মঞ্চে দেবেন, আর কয়েক ঘন্টা পরেই পাওয়া যাবে উত্তর।