India five runs vs USA: ভারতীয় ইনিংসের রান চেজ করার সময় স্কোরবোর্ড দেখাচ্ছিল ৩০ বলে জয়ের জন্য দরকার ৩৫ রান। বেশ রুদ্ধশ্বাস পরিসমাপ্তির ইঙ্গিত পেয়ে নড়েচড়ে বসেছিলেন অনেকে। সেই সময়েই আম্পায়ারদের দেখা যায় নিজেদের মধ্যে কোনও একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে। প্ৰথমে আম্পায়াররা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ইউএসএ অধিনায়ক আরন জোন্সকে বিষয়টি জানালেন। তারপরেই অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার পল রাইফেল বাঁ কাঁধ স্পর্শ করে পাঁচ পেনাল্টি রানের ইঙ্গিত দেন। সঙ্গেসঙ্গেই ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান কমে দাঁড়ায় ৩০-এ।
আইসিসির টি২০ আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, ফিল্ডিং দলকে এক ওভার সমাপ্ত হলে পরের ওভার করার জন্য ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে প্রস্তুত থাকতে হবে। মাঠে এই ওভার-মধ্যবর্তী সময় গণনার জন্য একটি ইলেকট্রনিক্স ঘড়ি রয়েছে। যেখানে ০ থেকে ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত সময় গণনা করা হয় নির্দিষ্ট সময়ে। যে ঘড়ি সম্প্রচারকারী সংস্থার তরফে বুধবার-ই দেখানো হল। সেই নিয়মে আরও বলা হয়েছে, যদি সময় ঘড়ি ০-এ নেমে আসে, এবং তখনও ফিল্ডিং দল পরবর্তী ওভারের জন্য প্রস্তুত না হয়, তখন:
প্ৰথমবার ফিল্ডিং দলকে ডেকে আম্পায়ারের তরফে সতর্ক করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ব্যাটার এবং অন্য আম্পায়ারকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়।
দ্বিতীয়বার একই ভুল হলে উপরের ঘটনাক্রম-ই পুনরাবৃত্তি করা হয়। সেই সঙ্গে ক্যাপ্টেনকে ডেকে বলা হয় এটাই শেষ সতর্কবার্তা।
তৃতীয় এবং চূড়ান্ত সময়ে এই ভুল হলে বোলারের প্রান্তের আম্পায়ার ব্যাটিং দলকে পাঁচ পেনাল্টি রান দেন। ইউএসএ ম্যাচের কোন সময়ে দু-দুবার তার আগে নিয়ম লঙ্ঘন করেছিল তা স্পষ্ট নয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের ওভার-মধ্যবর্তী গতি মন্থরতার খেসারত দিল। একইভাবে ফিল্ডিং দল বোলিংয়ে প্রস্তুত হলেও ব্যাটিং দল যদি সময় নষ্ট করে তাহলে আম্পায়ার সিদ্ধান্ত নেবেন সময় নষ্টের জন্য কী শাস্তি প্রাপ্য ব্যাটিং দলের। রান কমে আসায় ভারত ১০ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ খতম করে দেয়।
এই নিয়ম কার্যকর করার আগে আইসিসি গত ডিসেম্বরেই মহড়া দিয়ে রেখেছিল। তারপর তা টি২০ এবং ওয়ানডেতে কার্যকর করা হয় ১ জুন থেকে। এমনটাই জানিয়েছে ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন।