সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট (Bangladesh Cricket) বোর্ডের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বার্ষিক চুক্তি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকায় সর্বোচ্চ এ প্লাস ক্য়াটেগরিতে মাত্র একজন ক্রিকেটারই জায়গা পেয়েছেন। তিনি তাসকিন আহমেদ (Taskin Ahmed )। এই চুক্তি অনুসারে, তাসকিনকে বিসিবি সর্বাধিক মাসিক ১০ লাখ টাকা করে দেবে। ভারতীয় মুদ্রায় এই অঙ্কটা ৭ লাখ টাকার সামান্য বেশি। অর্থাৎ, এক বছরে অঙ্কটা দাঁড়াবে আনুমানিক ৯৬ লাখ টাকা। কিন্তু, ভারতের 'গ্রেড সি' ক্রিকেটাররা এর থেকে অনেকটাই বেশি টাকা পেয়ে থাকেন। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের চুক্তি অনুসারে 'গ্রেড সি' ক্রিকেটাররা প্রতি বছর ১ কোটি টাকা করে পেয়ে থাকেন।
কোন কোন ক্রিকেটার রয়েছেন BCCI-এর গ্রেড সি তালিকায়?
BCCI-এর গ্রেড সি তালিকায় নাম রয়েছে রিঙ্কু সিং, তিলক বর্মা, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শার্দূল ঠাকুর, শিবম দুবে, রবি বিষ্ণোই, জীতেশ শর্মা, ওয়াশিংটন সুন্দর, মুকেশ কুমার, সঞ্জু স্যামসন, আর্শদীপ সিং, কেএস ভরত, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, আভেশ খান এবং রজত পতিদারের।
যদিও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা প্রতি আন্তর্জাতিক ম্য়াচ খেলার জন্য আলাদা করে টাকা পেয়ে থাকেন। কিন্তু, সেই টাকার অঙ্ক ঠিক কতখানি, সেই ব্যাপারে বোর্ডের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এই বছর থেকে প্রতি টেস্ট ম্যাচে ৮ লাখ টাকা, প্রতি ওয়ানড ম্য়াচে ৪ লাখ টাকা এবং টি-২০ ম্য়াচে আড়াই লাখ টাকা করে পাবেন।
ভারত বনাম বাংলাদেশ গত ম্য়াচের ফলাফল
চলতি বছর ২০ ফেব্রুয়ারি ভারত (Indian Cricket Team) এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দল (Bangladesh Cricket Team) শেষবার একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্যায়ে আয়োজিত এই ম্য়াচে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। তাও ২১ বল বাকি থাকতে। টিম ইন্ডিয়ার হয়ে এই ম্য়াচে অপরাজিত শতরান (১০১) করেছিলেন শুভমান গিল। পাশাপাশি মহম্মদ সামি শিকার করেছিলেন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। অন্যদিকে, তাসকিন আহমেদ ৩ রান করেন। আর বল হাতে মাত্র একটাই উইকেট শিকার করেছিলেন। প্রসঙ্গত, এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ একটাও ম্য়াচ জিততে পারেনি।