এএফসি অনুর্দ্ধ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে কঠিন গ্রুপে পড়ল ভারত। বৃহস্পতিবার এএফসির তরফে যে ড্র ঘোষণা করা হল, তাতে দেখা গেল, ভারতের সঙ্গেই গ্রুপ সি-তে রয়েছে কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, উজবেকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়া। সেপ্টেম্বরের ১৬ থেকে অক্টোবরের ৩ তারিখ পর্যন্ত এএফসি এশিয়া কাপের আসর বসছে বাহরিনে। বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরে এএফসি-র প্রধান কার্যালয়ে এই ড্র চূড়ান্ত হল।
এই টুর্নামেন্টের চার সেমিফাইনালিস্ট দল ২০২১ এ পেরুতে আয়োজিত অনুর্দ্ধ ১৭ যুব বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
এর আগে গ্রুপ বি-তে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ভারতীয় ফুটবল দল। তাসখনতে ভারতের গ্রুপে ছিল আয়োজক উজবেকিস্তান, বাহরিন এবং তুর্কিমেনিস্তান। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ভারতীয় যুব ফুটবলাররা। ১১টি গোল করার পাশাপাশি মাত্র একটা গোল হজম করে ইন্ডিয়া সেবার। এই নিয়ে টানা তিন নম্বর বার মূলপর্বে খেলবে ভারত। সবমিলিয়ে মূলপর্বে খেলার সংখ্যা ৯বার।
ভারতের যুব দলের কোচ বিবিয়ানো ফার্নান্দেজ জানান, "ছেলেরা এই চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে রয়েছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কোনোরকম অজুহাত দেব না। এই পর্যায়ের ফুটবলে যে কোনো দলের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করাই শক্ত। আমরা বিগত কয়েক বছরে বেশ উন্নতি করেছি। আমার মত ছেলেরাও এই টুর্নামেন্টে নামতে মুখিয়ে।"
যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে তাসখনতে শেষবার উজবেকিস্তানের মুখোমুখি হয় ভারত। সেবার ১-১ গোলে ফলাফল অমীমাংসিত ছিল ম্যাচ। বিবিয়ানো বলছিলেন, "শেষ বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময়েই বুঝি ওরা কতটা শক্ত প্রতিপক্ষ। যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বের থেকে উন্নতি করার আরো সুযোগ পেয়েছে ওরা। তবে আমরাও এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।"
গত সংস্করণের মূলপর্বে ফিফা বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করার কাছে এসেও সেই স্বপ্ন পূর্ণ হয়নি। ২০১৮ এ কুয়ালালামপুরে কোয়ার্টার ফাইনালে কোরিয়ার কাছে মাত্র ০-১ এ হেরে সেমিফাইনালে ওঠা হয়নি কোলটসদের। তার আগে শেষবার ভারত কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল ২০০২ সালে।