ভারত: ১৫০/১০ এবং ৪৮৭/৬ (ডিক্লেয়ার)
অস্ট্রেলিয়া: ১০৪/১০ এবং ২৩৮/২০
India vs Australia 1st Test Match Report: কতক্ষণ টানতে পারে অস্ট্রেলিয়া। সেটাই ছিল দেখার। পারথ টেস্ট পঞ্চম দিনে নিয়ে ফেলার কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল অজিদের সামনে। প্রতিরোধ গড়ে তুলেও শেষমেশ চতুর্থ দিন খতম হওয়ার আগেই বান্ডিল অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপ। ৭৯/৫ হয়ে যাওয়ার পর পারথে অস্ট্রেলিয়া লোয়ার অর্ডারের বদন্যতায় শেষ ৫ উইকেটে ১৫৯ রান যোগ করল। এতেই ম্যাচ গড়াল তৃতীয় সেশনে।
পিচ ফুটো ফাটা হয়ে এসেছিল। প্রত্যাশিত সিম মুভমেন্টও হচ্ছিল না। এমন অবস্থায় অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় দিনের শুরুতেই গতকালের অপরাজিত ব্যাটার উসমান খোয়াজাকে হারায়। সিরাজ প্ৰথম স্পেলেই তুলে নেন অজি ওপেনারকে। ১৭/৪ হয়ে গিয়ে লজ্জা বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ ছিল বাকি ব্যাটারদের সামনে।
স্টিভ স্মিথকে নিয়ে ট্র্যাভিস হেড ৬২ রানের পার্টনারশিপে দলকে কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেন। এরপরে মিচেল মার্শ-ট্র্যাভিস হেডের জুটি ৮২ রানের আরও একটা লড়াকু পার্টনারশিপ উপহার দিয়ে যান। লড়াই করে হেড যখন সেঞ্চুরি থেকে আর মাত্র ১১ রান দূরে ছিলেন সেই সময়েই দ্বিতীয় স্পেলে আসা বুমরা ফাঁদ পেতে শিকার করেন তারকাকে।
আরও পড়ুন: কম টাকায় দামি প্লেয়ার কিনে, বাকিদের খরচ করালেন কোটি কোটি! নিলামের মাস্টারমাইন্ড এই গান্ধী, চিনে নিন
আউট হওয়ার আগের বলেই হেডকে শর্ট পিচড বলে পরীক্ষা নিয়েছিলেন। পরের বলই ব্যাক অফ দ্যা লেন্থের বল আর সামলাতে পারেননি হেড। পন্থের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তিনি। হেড আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মিচেল মার্শ-ও।
শেষদিকে অজি কিপার-ব্যাটার এলেক্স ক্যারি লোয়ার অর্ডারকে নিয়ে একাকী লড়াই চালিয়ে যান। স্টার্কের সঙ্গে ক্যারি ৪৫ রানের জুটিতে ভারতের সঙ্গে বিশাল পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমিয়ে আনেন। ক্যাপ্টেন বুমরা এবং মহম্মদ সিরাজ দুজনেই তিনটে করে শিকার করেছেন। বল হাতে ওয়াশিংটন সুন্দরের শিকার স্টার্ক এবং লিয়ন। এমনকি বল হাতে নীতিশ রেড্ডি বোল্ড করেছেন মিচেল মার্শকে। হর্ষিত রানাও একমাত্র উইকেট পেয়েছেন বোল্ড করে। তাঁর শিকার এলেক্স ক্যারি।
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে সিরিজে ০-৩ হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর মুণ্ডুপাত শুরু হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার। একাধিক সিনিয়রকে বাদ দেওয়ার দাবি উঠে গিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারত বাজি রেখেছিল হর্ষিত রানা এবং নীতিশ রেড্ডির ওপর। গম্ভীরের দুই বাজিই খেটে গিয়েছে।
দুজনেই ভারতের ঐতিহাসিক জয়ে অবদান রেখেছেন। রোহিত শর্মা, শুভমান গিলের অনুপস্থিতিতে ভারত একদমই অনভিজ্ঞ তরুণ স্কোয়াড নামাতে বাধ্য হয়েছিল পারথের গতি সম্পন্ন পিচে। সেখানেই এবার অজি-বধ করে ইতিহাস গড়ল টিম ইন্ডিয়া। বুমরার টিম ইন্ডিয়া।