Faiz Fazal Zimbabwe: জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে তাঁর ওডিআই অভিষেক হয়েছিল। কিন্তু, তারপর আর টিম ইন্ডিয়ায় ডাক পাননি বিদর্ভের ফৈয়জ ফজল। সেই অভিষেকের পর আর তিনি ভারতীয় দলে ডাক পাননি। সেই যন্ত্রণা আজও বুকে বয়ে নিয়ে বেড়ান এই ক্রিকেটার। বাঁ-হাতি ফৈয়জ, ২০১৬-র জুনে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে একটি একদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন।
কিন্তু, তারপর থেকে তিনি আর জাতীয় দলে ডাক পাননি। কারণটা কী, সেটা কেউ তাঁকে জানায়নি। তিনিও জানতে পারেননি। সেই দুঃখ আজও বয়ে বেড়ান ফৈয়জ। হারারে স্পোর্টস ক্লাবের স্মৃতি তিনি আজও ভুলতে পারেননি। ফজল জানিয়েছেন, সেই দিনটা তাঁর কাছে এক বিশেষ দিন ছিল। এমন এক দিন, যা তাঁকে তো বটেই, তাঁর পরিবারকেও গর্বিত করেছিল। কারণ, তিনি জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ওই দিন। ওই বিশেষ দিনে দেশের হয়ে ক্রিকেট মাঠে লড়াই করেছেন।
এই ব্যাপারে ফজলের কথায়, 'আমি খুবই আবেগপ্রবণ লোক। ছোট জিনিসেও আঘাত পাই। আবার, ছোট জিনিসেও প্রচণ্ড খুশি হই। ২০১৬-র জুনে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে উঠেছিল। ওই দিনটা যে আমাকে কী আনন্দ দিয়েছিল, বলে বোঝাতে পারব না। আমার পরিবার, প্রতিবেশীরা সবাই আনন্দ করেছে। গোটা পরিবারের কাছে দিনটা ছিল একটা গর্বের মুহূর্ত। আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় জায়গায় আমি ওই দিন পৌঁছেছিলাম। আপনার মনে হতেই পারে, এটা একটা খেলা। অথবা, মনে হতেই পারে, আমি বহু পুরোনো কথা বলছি। কিন্তু, মনে রাখবেন যে সেই স্কোয়াডে একমাত্র আমিই ছিলাম, যে আইপিএলে খেলিনি।'
ফজল হতাশ হতেই পারেন। কারণ, তাঁর অভিষেক ম্যাচটা ছিল রীতিমতো দেখার মত। ৭০ বলে অপরাজিত ৬৩ রান করেছিলেন। যার মধ্যে ছিল ৪টে চার এবং ২টো ছয়। যার সুবাদে ভারত ১২৪ রান তাড়া করে ১০ উইকেটে ম্যাচটা জিতে নিয়েছিল। তারপরেও তাঁকে বাদ পড়তে হয়েছে। অথচ, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো রান করার জন্যই তিনি টিম ইন্ডিয়ায় জায়গা পেয়েছিলেন। তারপরও কেন বাদ? সেই প্রশ্ন আজও বুকে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন বিদর্ভের এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন- ঈশান-ঝামেলা মেটাতে এবার ‘মাঠে’ সৌরভ! ‘বন্ধু’ জয় শাহকেই বড় বার্তা, কানে তুলবে BCCI
গত মাসেই ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও অবসর নিয়েছেন। হরিয়ানার বিরুদ্ধে বিদর্ভের রঞ্জি ম্যাচটাই ছিল ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর শেষ ম্যাচ। যার দুই ইনিংসে ফজল ১ এবং ০ করেছেন। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার যন্ত্রণা তাঁর পারফরম্যান্সেও পড়েছে। ক্রমশ সেই পারফরম্যান্স খারাপ হয়েছে। তারপরও হাল ছাড়েননি ফজল। রঞ্জিতে বিদর্ভের হয়ে ভালো কিছু করার চেষ্টা লাগাতার চালিয়ে গিয়েছেন। ফজল বলেছেন, 'আমি ওই ঘটনায় ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়েছিলাম। বলতে গেলে একশোভাগ হতাশ হয়ে পড়ি।' যে হতাশা, ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরেও তাঁকে আজও তাড়িয়ে বেড়ায়।