করোনার কারণে খেলা বন্ধ। তবে খেলা একবার শুরু হলে ক্রিকেটাররা যাতে অল্প সময়ে ম্যাচ ফিটনেস রপ্ত করে ফেলতে পারেন, সেই জন্য জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর এবার চার পর্যায়ের ট্রেনিং শিডিউল তৈরি করছেন। এমনটাই তিনি জানালেন সংবাদসংস্থা পিটিআইকে।
২০১৪ সাল থেকে জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত তিনি। তিনি এদিন জানান, "৪-৬ সপ্তাহের ট্রেনিং ক্যাম্প আয়োজন করলে আমরা ফিটনেসের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যাব। বোলারদের ক্ষেত্রে ৬ সপ্তাহ কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে আর একটু কম সময় লাগে।"
"কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বিসিসিআই চূড়ান্ত দিনক্ষণ জানালে হলে আমরা একদম প্রথম থেকে শুরু করব। ১৪-১৫ সপ্তাহের ব্রেক পাওয়ার পর ক্রিকেটাররাও মাঠে নামতে প্রস্তুত।" বলছেন তিনি।
শুরুতেই হেভি অনুশীলন করানো হবে না। এমনটাই জানাচ্ছেন তিনি। বলছেন, "ধীরে ধীরে অনুশীলনের মাত্রা বাড়াতে হবে। ভারী অনুশীলনে চোট লাগার প্রবণতা থাকে।"
কীভাবে চার পর্যায়ে অনুশীলন করানো হবে? শ্রীধর জানাচ্ছেন, প্রথমে লো ভলুম লো ইন্টেন্সিটি, দ্বিতীয় পর্যায়ে মডারেট ভলুম লো ইন্টেন্সিটি, তৃতীয় পর্যায়ে, হাই ভলুম মডারেট ইন্টেন্সিটি এবং শেষ অংশে হাই ভলুম হাই ইন্টেন্সিটি ট্রেনিং করানো হবে।
প্রতিটি পর্যায় যেভাবে শ্রীধর ব্যাখ্যা করেছেন তা হল:
লো ভলুম লো ইন্টেন্সিটি- হাফ ও কোয়ার্টার রান আপ নিয়ে ফাস্ট বোলাররা দু ওভার করে বোলিং করবেন। মাঝারি মানের পেস বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যাটসম্যানরা পাঁচ থেকে ছয় মিনিট ব্যাটিং করবেন।
এভাবেই ট্রেনিংয়ের দিনক্ষণ গড়ানোর সঙ্গেসঙ্গে অনুশীলনের তীব্রতা বাড়ানো হবে। শ্রীধর বলছেন, "দলের প্রথমসারির ক্রিকেটাররা ৬ সপ্তাহের মধ্যেই টেস্ট ম্যাচ খেলার পর্যায়ে চলে আসবেন।
শ্রীধর আরো জানিয়েছেন, প্রত্যেকের ম্যাচ ফিটনেস কিংবা খেলার প্রতি এপ্রোচ আলাদা। তাই সবার কথা বিবেচনা করেই চার পর্যায়ের অনুশীলনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
বর্তমানে লকডাউনে অনুশীলন না করতে পারলেও ক্রিকেটাররা জাতীয় দলের হেড কন্ডিশনিং কোচ নিক ওয়েবের প্রেসক্রিপশন মেনে চলছেন।