বীরেন্দ্র শেওয়াগের নাম মাথায় এলেই মনে পড়ে ধ্বংসাত্মক এক ব্যাটসম্যানের নাম। যাঁর সামনে হাঁটু কাঁপত বাঘা বাঘা বোলারদের। নিজের দিনে সেরার সেরা ছিলেন তিনি। বহু ম্যাচের ফয়সালা করে দিয়েছেন একার হাতে। তবে একইভাবে বহু ম্যাচে হতাশও করেছেন নজফগড়ের নবাব। জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় বহু কোচেট সান্নিধ্যে এসেছেন শেওয়াগ। জন রাইট জমানায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ ঘটে শেওয়াগের।
এবার নিজের সেই পুরোনো কোচকে নিয়েই বড়সড় খোলসা করলেন শেওয়াগ। বলে দিলেন, একবার তাঁর কলার সজোরে টেনে ধরেন কিউই কোচ। জন রাইট জমানায় ভারত উথাল পাতাল সাফল্য-ব্যর্থতা প্রত্যক্ষ করেছে। গ্রেট কোচ হিসেবে পরিগণিত হন তিনি। তিনিই একবার রাগের মাথায় কলার চেপে ধরেন শেওয়াগের। দিল্লির এক ইভেন্টের বিষ্ফোরক সেই ঘটনা জানান তিনি।
২০০৪-এর ইংল্যান্ড সফরের সময় জন রাইট টিম ইন্ডিয়ার বিষ্ফোরক ওপেনারকে কলার চেপে টানেন। শেওয়াগও হেড কোচের কাণ্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি সরাসরি তৎকালীন টিম ইন্ডিয়ার ম্যানেজার রাজীব শুক্লাকে রিপোর্ট করেন। সরাসরি বলে দেন, একজন শ্বেতাঙ্গ কীভাবে তাঁকে আঘাত করতে পারেন! পরে অমৃত মাথুর এবং রাজীব শুক্লা দুজনের মধ্যে মীমাংসা করে দেন।
অমৃত মাথুর সেই সময় টিম ইন্ডিয়ার জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন। অমৃত মাথুর সম্প্রতি এক বই লিখেছেন, 'মাই লাইফ ইন ইন্ডিয়ান ক্রিকেট'। সেই বইয়ের প্রকাশ অনুষ্ঠানেই শেওয়াগ পুরোনো সেই ঘটনার কথা স্মরণ করেছেন।
যাইহোক, ২০০৪-এ ভারত ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-২ ব্যবধানে হেরে যায়। ২০০৫-এ টিম ইন্ডিয়ার কোচের পদে মেয়াদ শেষ হয় জন রাইটের। সৌরভের টিম ইন্ডিয়ার পরবর্তী কোচ হিসেবে আগমন ঘটে গ্রেগ চ্যাপেলের।