বিশ্বকাপে দাপিয়েছেন ভারতের জার্সিতে। প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের কাছে ধাঁধা নিয়ে হাজির হয়েছেন প্রত্যেক ম্যাচে। প্ৰথম চার ম্যাচ খেলেননি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সুযোগ পাওয়ার পর আর থামানো যায়নি। উইকেটের পর উইকেট নিয়েছেন। আর গনগনে পারফরম্যান্সের পর পাকিস্তানকে বারেবারেই তুলোধোনা করেছেন। পাক মুলুক থেকেই ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে কারিকুরির ষড়যন্ত্রের কাহিনী। শামি পাল্টা আক্রমণ করেছেন বিশ্বকাপ শেষ হতেই।
এবার পাকিস্তানের নাম না করে আরও একবার সমালোচনায় মুখ খুললেন ভারতীয় স্পিডস্টার। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের সময় শামির ধর্ম পরিচয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাংশ বিতর্ক তৈরি করা হয়েছিল। ইন্ধন এসেছিল পড়শি পাক মুলুক থেকে। শ্রীলঙ্কা বিরুদ্ধে বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর শামি একসময় মাটিতে বসে পড়েছিলেন। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় একাংশ বলে দেন, শামি সিজদা করতে গিয়েও মাঝপথে নিজেকে থামিয়ে নেন।
সেই ধর্ম-বিতর্কেই এবার নেটিজেন, পাক মুলুকের একাংশকে ধুয়ে দিলেন শামি। সরাসরি বলে দেন, ভারতে ধর্ম সংক্রান্ত আচার পালনে কেউ তাঁকে আটকাবে না। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, তিনি ভারতীয় এবং মুসলিম- এই বক্তব্যে কোনও অস্বচ্ছতা নেই।
"আমি যদি সত্যি সত্যি প্রার্থনা করতে চাইতাম, কে আটকাত আমাকে? আমি তো কাউকে প্রার্থনা করা থেকে বিরত করি না। যদি আমি প্রার্থনা করতে চাই, অবশ্যই করব। এতে সমস্যা কোথায়? আমি গর্বের সঙ্গে বলি আমি মুসলিম, আমি গর্বিত যে আমি ভারতীয়। এই সমস্যা কোথায়? প্রার্থনা করার জন্যও যদি কারোর অনুমতি প্রয়োজন হয়, তাহলে এই দেশে থাকব কেন! এই আগে কি কখনও পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর প্রার্থনা করেছি? আমি বহুবার পাঁচ উইকেট নিয়েছি। আপনি আমাকে বলুন কোথায় প্রার্থনা করতে হবে। আমি সেখানে গিয়ে প্রার্থনা করব।" এজেন্ডা আজ তক-এ জানিয়েছেন সুপারস্টার।
শামি আরও বলেছেন, "যাঁরা এরকম বলছেন, তাঁরা আদতে কারোর পক্ষে থাকে না। ওঁরা স্রেফ বিতর্কের জন্য এরকম করে থাকে। সেই ম্যাচে আমি ২০০ শতাংশ দিয়ে বোলিং করেছিলাম। খুব দ্রুত উইকেট পড়ছিল। তিন উইকেট নেওয়ার পর ভেবেছিলাম পাঁচ উইকেট নিতে হবে। বহুবার ব্যাটারদের ব্যাট পরাস্ত করলেও উইকেট পাচ্ছিলাম না। সেই কারণেই ক্লান্ত হয়ে পারছিলাম। পুরো ছন্দে বোলিং করছিলাম। তাই পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর মাটিতে বসে পড়ি হাঁটু গেড়ে। এতে অন্য অর্থ বের করে ফেলেছে কয়েকজন। যারা এভাবে কোনওকিছুর ভুল ব্যাখ্যা করেন, তাদের আর কোনও কাজ নেই।"